ভিজিডি তালিকার দুই নারী চাল পাননি, ২০ হাজার টাকায় রফা

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: বড়াইগ্রামে ইউপি সদস্যের কারসাজিতে তালিকায় নাম থাকা স্বত্ত্বেও মমতাজ বেগম নামে এক মহিলা ২১ মাস এবং ইতি খাতুন নামে অপর এক মহিলা ৯ মাস যাবৎ ভিজিডি’র চাল পাননি। এসব ব্যক্তির নামে কার্ড থাকলেও চাল তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার মোল্লার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ঢাকতে রাতের আধারে মমতাজ বেগমের সঙ্গে ২০ হাজার টাকায় আপোষ রফা করেছেন সেই ইউপি সদস্য।
এছাড়া অপরজনকে পরবর্তী মাসগুলোতে চাল দেয়ার আশ^াসে বিষয়টির নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছেন তিনি। অভিযুক্ত আব্দুল জব্বার উপজেলার ৫নং মাঝগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য।
জানা যায়, মাঝগাঁও ইউনিয়নের চুলকাটি গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগমের ভিজিডি’র তালিকায় নাম রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ২৪ মাস তিনি ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু তার তালিকাভূক্তির বিষয়টি গোপন রেখে গত ২১ মাস যাবৎ ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার তার প্রাপ্য চাল তুলে নেন। সম্প্রতি খোঁজ পেয়ে মমতাজ বেগম এ ব্যাপারে ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। পরে তিনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে তার নামে কার্ড থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
বিষয়টি টের পেয়ে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে ইউপি সদস্য কয়েকজন লোক নিয়ে মমতাজ বেগমের বাড়িতে গিয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে আপোষ করেন। অপরদিকে, মাধাইমুড়ি গ্রামের আলতাফ হোসেনের স্ত্রী ইতি খাতুনও ভিজিডির তালিকাভূক্ত হলেও গত ৯ মাস যাবৎ চাল পাননি।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মমতাজ বেগম বলেন, মেম্বার কয়েকজন লোকসহ এসে জোর করেই ২০ হাজার টাকা দিয়ে গেছেন। আর ইতি খাতুন বলেন, আমাকে অবশিষ্ট মাসগুলোতে চাল দেয়ার ওয়াদা করে কোথাও অভিযোগ না করতে বলেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, তালিকায় মমতাজ বেগমের গ্রাম লেখা আছে ঢুলিয়া। কিন্তু ওই গ্রামে গিয়ে এ নামে কোন লোক না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অন্য একজনকে চাল দেয়া হয়েছে। তাছাড়া উনি চাল না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে তাকে কিছু টাকা দেয়া হয়েছে। তবে ইতি খাতুনের বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২ | সময়: ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ