সর্বশেষ সংবাদ :

মান্দার ফায়সাল ক্লিনিকে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু

মান্দা প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দা উপজেলার বহুল আলোচিত ফয়সাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক তাসনিম হোসাইন আরিফের নেতৃত্বে তদন্তদল শনিবার বেলা ১২টার দিকে ক্লিনিকটি পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় প্রসূতি আমেনা বেগমের অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক রবিউল করিম তদন্ত কমিটির কাছে সার্জারী বিষয়ে কোনো কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের বিষয়ে ক্লিনিকের মালিক, ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে রেকর্ড করা হয়েছে অভিযোগকারী ও রোগির স্বজনদের জবানবন্দী। তদন্তে প্রসূতি আমেনা বেগমের (২০) সিজারিয়ান অপারেশনের বেশকিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদলপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী আমেনা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে গত ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার প্রসাদপুর বাজারের ফয়সাল ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু ভুল অস্ত্রোপচারের কারণে কয়েকদিনের মধ্যে প্রসূতি আমেনা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রসূতি আমেনাকে আবারও ওই ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা না দিয়ে ওইদিন রাত ১২ টার দিকে সেখান থেকে বের করে দেন ক্লিনিকের লোকজন। অবশেষে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় প্রসূতি আমেনা বেগমের ভাই মোজাহারুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. তাসনিম হোসাইন আরিফ বলেন, প্রসূতি আমেনা বেগমের সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. রবিউল করিম ও অজ্ঞানের চিকিৎসক ছিলেন ডা. হাসান মোহাম্মদ মুক্তাদির। তবে সার্জারী বিষয়ে ডা. রবিউল করিম কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এছাড়া তদন্তে বেশকিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। যা প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করা হবে।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২ | সময়: ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ