সর্বশেষ সংবাদ :

বাবরকে ওপেনিংয়ে দেখে বিরক্ত শোয়েব আখতার

স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টিতে বাবর আজমকে ওপেনিং থেকে সরানোর কথা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন শোয়েব আখতার। এবার ভারতের কাছে এশিয়া কাপের ম্যাচে হারার পর পুরনো সেই সুতোয় আবার টান দিলেন তিনি। পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার হতাশ দলের ব্যাটিং অর্ডার ও মানসিকতা নিয়ে।
দুবাইয়ে রোববার ভারতের কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচে বাবর আউট হন ৯ বলে ১০ রান করে। তার উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪৩ রান করতে খেলে ফেলেন ৪২ বল। এমনিতে ওপেনিং থেকে বাবরকে সরানোর আলোচনায় চোখ কপালে উঠতে পারে অনেকের। এই পজিশনে খেলেই তিনি আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছেন বেশ কিছুদিন ধরে। তার ধারাবাহিকতা চোখধাঁধানো। ৪৯ ইনিংস ওপেন করে সেঞ্চুরি একটি, ফিফটি ২০টি। ব্যাটিং গড় ৪৩.৬৮, স্ট্রাইক রেট ১৩২.৫৩।
ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে নিজের সবশেষ দুটি টি-টোয়েন্টিতে তার ইনিংস ৫৩ বলে ৭৯ ও ৪৬ বলে ৬৬ রানের। রিজওয়ানের সঙ্গে তার জুটির ধারাবাহিকতাও দুর্দান্ত। তার পরও এই জুটি নিয়ে কিছুদিন ধরে প্রশ্ন উঠছে মূলত দুজনের ব্যাটিংয়ের ধরনের কারণে। এই দুই ব্যাটসম্যানই শুরুতে কিছুটা সময় নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন। একটু ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে ইনিংস গড়ে পরে তারা বাড়িয়ে নেন বল-রানের ব্যবধান। বাবর তবু মাঝেমধ্যে একটু আগ্রাসী শুরু করলেও রিজওয়ান বরাবরই এই পথেই হাঁটতে অভ্যস্ত।
এই ঘরানার ব্যাটিংয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারলে পুষিয়ে দেওয়া যায়। তবে ধীরে শুরুর পর থিতু হয়ে আউট হয়ে গেলেই বিপদে পড়ে দল। ভারতের বিপক্ষে রোববার রিজওয়ানের ইনিংসটি যেমন বিপদে ফেলে দেয় পাকিস্তানকে। ওপেনিংয়ে তাই ফখর জামানের মতো আগ্রাসী কাউকে দেখতে চান শোয়েবসহ অনেকেই।
ভারতের কাছে হারার পর নিজের পুরোনো দাবি নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন শোয়েব। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি তুলে ধরলেন তার আরও কিছু ভাবনা। “রিজওয়ান যদি এভাবে বলপ্রতি রান তুলেই খেলতে থাকে, তাহলে অবস্থা কি দাঁড়াবে? প্রথম ৬ ওভারে ১৯টি ডট বল হয়েছে (পাওয়ার প্লেতে)। এত ডট বল খেললে তো সমস্যায় পড়তেই হবে!”
“দুই অধিনায়কের দল নির্বাচনই ছিল বাজে। দুজনই ভুল দল বাছাই করেছে। ওরা (ভারত) বাদ দিয়েছে রিশাভ পান্তকে, আমরা চার নম্বরে খেলাচ্ছি ইফতিখার আহমেদকে। ইফতিখারের প্রতি অসম্মান করছি না, কিন্তু এটা অনেকবার বলেছি যে, বাবরের ওপেন করা উচিত নয়। বরং তার উচিত তিনে নেমে এক প্রান্ত থেকে শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নেওয়া।”
এই ম্যাচে ভারতের একাদশে পান্তকে না রাখাও আলোচনার জন্ম দেয় তুমুল। টেস্ট ও ওয়ানডে দলের নিয়মিত সদস্য আগ্রাসী এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে বাইরে রেখে ‘ফিনিশার’ হিসেবে দিনেশ কার্তিককে বেছে নেয় ভারত। ম্যাচের ধারাভাষ্যে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, গৌতম গাম্ভিরের মতো সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররা এতে বিস্ময় প্রকাশ করেন যথেষ্টই।


প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২২ | সময়: ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর