শোক ও শ্রদ্ধায় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে শোক ও শ্রদ্ধায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ করেছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দিনটি উপলক্ষে নিহতদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর কুমারপাড়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট নিহতদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
নগর আ’লীগ: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচী সমূহের মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়, সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ও ২১ আগস্টে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে রাজশাহী মহানগরসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে দাবি উঠে অবিলম্বে ২১ আগস্টের মূল পরিকল্পনাকারী তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কার্যকরের।
রাজশাহী মহানগর রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লী উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিকাল ৫টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে।
আরো বক্তব্য রাখেন নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ডাঃ মনন কান্তি দাস, রুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি ইপু।

সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র বক্তব্যের শেষ দিকে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার যে নীল নকশা করেছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তার প্রধান কুশীলব ছিলো তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া’র পুত্র তারেক জিয়া। এটি নিছক কোন ঘটনা নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের মদদে একটি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি আজকে আন্দোলনের ফাঁকা বুলি শুধুমাত্র টেলিভিশনের পর্দায় সীমাবদ্ধ, তাদের সাথে জনগণ নেই, তাদের কোন অর্জন নেই, নেই কোন জনসম্পৃক্ততা। জনকল্যাণে তারা কোন কাজ করে নি। তারা ক্ষমতায় থাকতে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নকশা করে, আর বিরোধী দলে গেলে জনগণের উপর পেট্রোল বোমা মেরে অগ্নিসন্ত্রাস করে, তারাই আবার মানবতার কথা বলে জাতির সাথে প্রতারনা করে।
ডাবলু সরকার বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে রাষ্ট্র ও সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ ও সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক জঙ্গীবাদের সৃষ্টি হয়েছিলো, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এম এস কিবরিয়াকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করা হয়েছিলো, যখন তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় সভা করছিলেন।
ডাবলু সরকার আরো বলেন, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র বক্তব্যের শেষ দিকে একটি নয়, দুইটি নয় বৃষ্টির মতো গ্রেনেড বর্ষণ করে তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করে ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু সেদিন পরম করুণাময়ের অশেষ কৃপায় ও বাংলাদেশের পনের কোটি মানুষের ভালোবাসায় আমাদের প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেদিন প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা বেগম আইভি রহমান সহ ২৪ জন সেদিন প্রাণ হারান। আওয়ামী লীগের জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীদের সেদিন গুরুতর আহত হন। যারা এখনও ঐ গ্রেনেডের স্পিøন্টার শরীরে বহন করে দুর্বীষহ জীবন যাপন করছেন।
ডাবলু সরকার প্রশ্ন রেখে বলেন, সেদিন ক্ষমতায় কারা ছিলেন? সেদিন ক্ষমতায় ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত পরিবেষ্টিত হয়ে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তারই কু-সন্তান তারেক জিয়া এই গ্রেনেড হামলার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জাড়িত ছিলো। তারেক জিয়ার নির্দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সন্ত্রাসবাদ ও আইএসআই এর পরিকল্পনায় এই গ্রেনেড হামলা পরিচালিত হয়। এই গ্রেনেড হামলার পূর্বে হাওয়া ভবনে দফায় দফায় ঐ জঙ্গী নেতা আব্দুল হান্নান, হারিছ চৌধুরী, আলী হাসান মুজাহিদ, তৎকালিন প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, তৎকালিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফর জামান বাবর, ডিজিএফআই এর কর্মকর্তা রেজ্জাকুল হায়দার, বিএনপি নেতা মোফাজ্জল করিম কায়কোবাদ এর সাথে বৈঠক করেন খালেদা জিয়ার কুলাঙ্গার সন্তান তারেক জিয়া। এই কুলাঙ্গার তারেক জিয়া তাদের শাসনামলে সারাদেশে বোমা হামলা, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন করেছে ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিএনপি শাসনামলে দেশের জনগণ দুর্বীষহ জীবন যাপন করেছে। ২১ আগস্টের ঘটনা কোন নিছক ঘটনা ছিলো না, এটি ছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত।
তিনি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর প্রয়াত বিএনপি নেতা ও তৎকালিন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা’র একটি সাক্ষাৎকারের একটি প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সাদেরক হোসেন খোকা সে সময় বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে এই গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপি’র দলীয় নোতকর্মীদের সামনে তারেক জিয়াকে ভৎসনা করেন ও তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে কথা বলে উক্ত গ্রেনেড হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে একটি নিন্দা জানাতে বললে খালেদা জিয়া অস্বীকৃতি জানান এবং এই গ্রেনেড হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে জর্জ মিয়া নাটক সাজান। এতে করেই পরিস্কার হয় যে, এই গ্রেনেড হামলায় তৎকালিন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ জড়িত ছিলো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নাঈমুল হুদা রানা, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, বদরুজ্জামান খায়ের, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ ম আ জাহিদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, হাবিবুর রহমান বাবু, মুশফিকুর রহমান হাসনাত, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আব্দুস সালাম, মজিবুর রহমান, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, মোখলেশুর রহমান কচি, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, কে এম জুয়েল জামান, থানা আওয়ামী লীগের রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাকের হোসেন বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডা. ইমরান হোসেন, রুয়েট ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু, নগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনার, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন সহ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিকেলে নগরীর অলোকার মোড়ে স্থায়ী কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা।
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক এমপি বেগম আখতার জাহান। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমানুল হাসান দুদু, আমানুল হাসান দুদু, এ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন, অধ্যক্ষ(অবঃ) আমজাদ হোসেন নবাব এবং আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম. আসাদুজ্জামান আসাদ, এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লা এবং আলফোর রহমান, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ কুমার প্রতীক দাস রানা, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু, প্রভাষক রোখসানা মেহবুব চপলা, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও নওহাটা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুল্লাহ খান, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন মিলন, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক অধ্যক্ষ তাজবুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব বিমল সরকার, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা নার্গিস শেলী এবং সাধারণ সম্পাদক বিপাশা খাতুন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক এম. মিজানুর রহমান রানা, জেলা তাঁতীলীগ সভাপতি মাজদার রহমান মকুল এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবী লীগ আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি প্রমুখ।
বুধবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ। পরিচালনা করেন জেলা যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সহসভাপতি সজল, আলমগীর মোরশেদ রঞ্জু, আনোয়ার হোসেন, সাংগঠিন মোবারক হোসেন মিলন, দপ্তর-সম্পাদক মিজানুর রহমান(পল্লব), সদস্য মুক্তার হোসেন, সুমনুজ্জামান সুমন, মাসুদ রানা পিন্টু। উপস্থিত ছিলেন জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ।
মান্দা: মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নাহিদ মোর্শেদ বাবুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ শেখ, সহসভাপতি মির্জা মাহবুব বাচ্চু ও আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও আবু বাক্কর সিদ্দিক, সদস্য মকবুল হোসেন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার মহন্ত, শ্রমিকলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নওসাদ আলী, যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমেনা খাতুন, ছাত্রলীগের সভাপতি মুজাদ্দিদ আল হাবিব মারুফ প্রমূখ।
ভোলাহাট: ভোলাহাটে উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে র‌্যালী আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালী শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গাফফার মুকুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী শাহ, সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল আহমেদ বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম বাবলু, উপজেলা মহিলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসাঃ শাহাজাদি বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসান হাবীব সহ অন্যরা। পরে বিশেষ ঐদিনের নিহত আহতদের জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।
নিয়ামতপুর: রবিবার দলীয় নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিয় শাখা ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নিয়ামতপুর সরকারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ হতে তিন মাথার মোড় হয়ে উপজেলা পরিষদের মেইন ফটকের সামনে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে উক্ত স্থানে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু ঈশ^র চন্দ্র বর্মন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য আলহাজ¦ আবেদ হোসেন মিলন, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম, সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রসুলপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন বাবর, ভাবিচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উৎপল কান্ত সরকার পিন্টু প্রমুখ।
গোমস্তাপুর: রোববার বিকেলে রহনপুর কলোনিমোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ জিয়াউর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোমস্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন মন্ডল, রহনপুর পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আঃ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস, জেলা মহিলা লীগ নেত্রী হালিমা বেগম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম টাইগার রহনপুর ইউসুফ আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মুরশালিন হক প্রমুখ।


প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২২ | সময়: ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ