সাকিব-মেহেদীর ব্যাটে ঝড়, সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ এনামুল

স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপের আগে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ, যেখানে একবার ব্যর্থ হলেই সব শেষ নয়। সুযোগ মেলে আরেকবার। কে কত রান করলো, কে ব্যর্থ হলো সেসব বিবেচনায় আসে না। প্রস্তুতি, ভুল শুধরে নেওয়াই এমন ম্যাচ আয়োজনের আসল উদ্দেশ্য। সেজন্য একবার আউট হলেও ব্যাটসম্যানদের সুযোগ মেলে আরেকবার।
মিরপুরে বিসিবি লাল ও বিসিবি সবুজ দলের ম্যাচে এমন চিত্রই দেখা গেল একাধিকবার। দুইবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেন এনামুল হক বিজয়, আফিফ হোসেন, শেখ মেহেদী ও সাকিব আল হাসান। তাদের মধ্যে কেবল ভালো করলেন সাকিব ও মেহেদী।
লাল দলের অধিনায়ক সাকিব প্রথমবার ১৩ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরলেও লেট অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। যেখানে কোনও চার না থাকলেও ছিল ৩ ছক্কার মার। প্রথমবার পেসার ইবাদতের স্লোয়ার বল চেক করতে গিয়ে কভারে আফিফের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। দ্বিতীয়বার তাকে কেউ আউট করতে পারেননি। বরং তাসকিনের বলে তার ইনসাইড আউট শটে মারা ছক্কা চোখে লেগে আছে উপস্থিত সবার। এছাড়া ইবাদতের বাউন্সারে সাকিব মাথায় আঘাত পাওয়ার আগে মিড উইকেট দিয়ে যেভাবে বল উড়িয়েছেন সেটাও ছিল দৃষ্টিনন্দন।
এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ ওপেনিং। যার ওপর অনেক ভরসা করা হচ্ছে সেই এনামুল দুইবারই ব্যর্থ। লাল দলের ওপেনার প্রথমবার ৪ রানে আউট হন তাসকিনের বলে। দ্বিতীয় সুযোগে ১০ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে লেট অর্ডার রান পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ১৭ বলে ৩০ রান করেছেন ২টি করে চার ও ছক্কায়। সব মিলিয়ে বিসিবি লাল দল সবুজ দলের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ১৬৫ রান জমা করে। লক্ষ্য তাড়ায় সবুজ দল ১৫০ রানের বেশি করতে পারেননি।
লাল দলের হয়ে ব্যাটিং করেছিলেন মেহেদী। ৬ বল খেলে খুলতে পারেননি রানের খাতা। তাসকিনের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে সবুজ দলের হয়ে তাকে বাজিয়ে দেখা হয়। যেখানে ১৬ বলে ৭ চারে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মেহেদী। টুকটাক রান করে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ১৭ বলে ২২ রান করেন ১টি করে চার ও ছক্কায়। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য রানের দেখা পাননি। ৯ বলে করেন ১২ রান।
এদিকে সুবজ দলের হয়ে ২৪ বলে ২৪ রান করে চমক দেখান যুব দলের ক্রিকেটার রবিন। তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা মিরাজ ২১ বলে করেন ২৯ রান। রান পাননি সবুজ দলের অধিনায়ক আফিফ। ৮ রানে ফেরেন সাজঘরে। পরবর্তীতে তাকে আবারো নামানো হলে ১ রানে রান আউট হন। দীর্ঘদিন পর ২২ গজে ফিরে ১৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রান করে সাইফ উদ্দিন নিজের ছাপ রাখেন।
বোলিংয়ে সবুজ দলের তাসকিন ৪২ রানে ২টি এবং নাসুম ২৩ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন। লাল দলের হয়ে সাকিব ও হাসান মুরাদ ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন। সাকিব ২৯ রানে ২টি এবং হাসান মুরাদ ১০ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন। মিরপুরের ২২ গজে প্রস্তুতি খুব একটা জমেনি। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বড় স্কোরের তাড়না পাওয়া যায়নি। এজন্য চার-ছক্কার ফুলঝুরি ঝরেনি। বোলাররা আঁটসাঁট পারফর্ম করেছেন। তবে ভাবনার বিষয় ফিল্ডিং। সীমানায় আজও তিনটি ক্যাচ মিস হয়েছে। মূল ম্যাচে এসব ভুলের বড় খেসারত দিতে হতে পারে।


প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২২ | সময়: ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ