ভোলাহাটে জমেনি আমের বাজার

ভোলাহাট প্রতিনিধি: আমের রাজধানী খ্যাত ভোলাহাট উপজেলায় এ বছর আমের উৎপাদন কম হওয়ায় জমে উঠেনি একমাত্র আম বাজার আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাট। এ বাজারে এখনো আম গত বছরের মত আসছে না। ভোলাহাট উপজেলায় খিরসাপাত (হিমসাগর), গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, আশি^না, হাডিভাঙ্গা, গুঠিসহ প্রায় ১’শ জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৩হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়। এ বছর ২৪ হাজার ৬৪০ মে.টন আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র অর্ধেকে নামার আশংকা করছেন আম ব্যবসায়ী ও চাষিরা।
এদিকে একমাত্র বড় আম বাজার আম ফাউন্ডেন ভোলাহাটে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, গত বছর এ সময় যে আম বাজারজাত হতো এ বছর তার অর্ধেকেও বাজারে আম কেনা-বেচা হচ্ছে না। আম ফাউন্ডেশন সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আলী বলেন, গত ২৭ মে আম ফাউন্ডেশনের বাজার উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু অসাধু অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা ক্যামিক্যাল, ফরমালিন মুক্ত আম সরবরাহ করা হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, কিছু ব্যক্তি নিজ স্বার্থে ভোলাহাট উপজেলার আমের বদনাম ছড়াচ্ছে। এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, ভোলাহাটের একটি আমেও ক্যামিক্যাল বা ফরমালিন দেয়া হয় না। সু-স্বাদু আম দেশের সব জায়গাতে প্রশংসার সাথে সরবরাহ হয়ে থাকে। এদের কথায় কান না দেয়ার অনুরোধ করেছেন। সহ সভাপতি মৌদুদুর রহমান শাহ রনি বলেন, এ বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে আম কম হয়েছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর এখনো বাজারে আম আসছে না।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল বলেন, আম ফাউন্ডেশন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সঠিক ভাবে আম আগে থেকে সরবরাহ হয়ে আসছে এখনো হচ্ছে। কোন প্রকার অবৈধ মালামাল বহন করার সুযোগ নেই। কেউ অবৈধ মালামাল বহন করলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোষাধ্যক্ষ লাল দেওয়ান বলেন, এ বছর আম ফাউন্ডেশনে মোট ১’শ ৬টি আড়ৎ রয়েছে। গত কদিন থেকে গোপালভোগ ২’হাজার থেকে ২’হাজার ৫’শ, খিরসাপাত ২হাজার থেকে ২হাজার ৮’শ, লক্ষণভোগ সাড়ে ৯’শ থেকে ১হাজার ২’শ, গুঠি ১হাজার থেকে ১হাজার ৬’শ টাকা দরে বিক্রয় হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ৩দিন থেকে প্রতিদিন মাত্র৬৪০ মণ আম কেনা-বেচা হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেক হবে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর আম উৎপাদন কম হওয়ায় ভোলাহাটের একমাত্র আম বাজারে আম কম আসছে বলছেন স্থানীয় আম ব্যবসায়ী ও আম চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আলী বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে এ বছর আম দেরিতে পাকা শুরু করেছে। এছাড়া অফ ইয়ার হওয়ায় আমের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে আম কম বেচা-বিক্রি হচ্ছে।


প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ | সময়: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ