শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে রাস্তা দিয়ে যাওয়া নিয়ে দ্বন্দে শিক্ষকসহ সাত জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধায় উপজেলার নগর ইউনিয়নে পার-গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার রকির হোসেনের চাচাত ভাই হাসমত আলী বাদি হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
আহতরা হলেন উপজেলা পার-গোপালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র ও দেওশীন উচ্চ বিদ্যালয়ে শরীর চর্চা শিক্ষক আমজাদ হোসেন (৪৫)। এছাড়াও একই গ্রামে তাইজুল ইসলামের ছেলে সাগর খান (২০) ওয়াজ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০) মঙ্গল খানের ছেলে গফুর হোসেন (৫২) আব্দুল বারেকের ছেলে ফারুখ হোসেন (৩০) ও নয়ন আলীর ছেলে রকি হোসেন (১৬) স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৫৬)। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রকি হোসন বলেন, আমি কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। করনার টিকা দিয়ে স্কুল থেকে বন্ধুদের সাথে বাড়ি ফিরতে ছিলাম। পথে সাগর খান তার স্ত্রী ও বোনদের নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তার স্ত্রী ও বোন পার হয়ে যাওয়ার পর সাগর খান আমাকে বলে রাস্তা ব্লক করে যাচ্ছিস কেন। আমি বলি কিরে গেদা কিছু কইলী। তখন আমাকে মারপিট করে। পরে গ্রাম প্রধাণ বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়।
আমি বাড়িতে আসলে সাগর খান, তার চাচা আনসার সদস্য শহিদুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামসহ ১৫ থেকে ২০ জন জিআই পাইপ ও দেশীয় অস্ত্রো নিয়ে এসে আমার বাড়িতে হামলা করে। আমি, আমার চাচা, মা,সহ পাঁচজন আহত হই।
সাগর খান বলেন, আমি স্ত্রী, বোনসহ শাক তুলতে যাচ্ছিলাম। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের উদ্দেশ্য করে রকি হোসেন অশ্লীল কটুক্তি করে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে পারপিট করে। পরে তারা আমাকে ও আমার চাচা শহিদুল ইসলামকে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
আমজাদ হোসেন বলেন, শহিদুল ইসলাম ও তার ভাই শফিকুল ইসলাম আনসার সদস্য। তার ক্রিকেট খেলার ব্যাড ও লোহার জিআই পাইপ নিয়ে মারমারি করার উদ্দেশ্যে ঘুরাঘুরি করতে দেখে নিশেধ করি। তখন তারা আমাকে মারপিট করে।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, হাসমত আলী বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।