মৃত্যুর রহস্য নিয়ে নতুন কিছু পোস্টমর্টেম

ডেস্ক রির্পোট (ঢাকা অফিস):   আমরা অনেকেই কল্পনা করি মৃত্যু হলো ঘুমের মধ্যে ভেসে যাওয়ার মতো। মাথা ভারী হয়ে আসে। আলতো করে চোখ বন্ধ হয়ে একটি শেষ নিঃশ্বাস এবং তারপর আলো নিভে যাওয়া। আনন্দদায়ক শোনালেও মৃত্যু এমন কিংবা এতটা দ্রুত নাও হতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল স্কুল অব মেডিসিন-এর গবেষকরা ব্রেইনএক্স নামক একটি কৃত্রিম পারফিউশন সিস্টেমের সাথে জ্যান্ত শূকরের সচল মস্তিষ্ককে সংযুক্ত করে মৃত নিষ্ক্রিয় মস্তিষ্কের কিছু কোষকে ৩৬ ঘন্টা পর্যন্ত ‘জীবিত’ রাখতে পেরেছিলেন। কোষগুলিতে শর্করা গ্রহণ এবং বিপাক সংঘটিত হয়। এমনকি মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ফিরে আসে। মৃত্যুর পরেও জীবন আছে। বিজ্ঞান পরকালের প্রমাণ বা আত্মার ওজন আবিষ্কার করতে পারেনি। রয়্যাল সোসাইটির ওপেন বায়োলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের জিন মৃত্যুর পরও সক্রিয় থাকে। তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র অনুসারে, যে শক্তি জীবনকে শক্তি যোগায় তা চলতে থাকে এবং কখনই ধ্বংস হয় না। কেবল রূপান্তরিত হয়। মৃত্যুর কাছাকাছি যাওয়ার অভিজ্ঞতা বিচিত্র। কিছু মানুষের বোধ হয়, তাদের শরীর হাওয়ায় ভাসছে। কেউ কেউ অতিপ্রাকৃত রাজ্যে চলে যায় এবং স্বজনদের সাথে দেখা হয়। কেউ অন্ধকার টানেল কিংবা উজ্জ্বল আলো উপভোগ করে। তবে তাদের অধিকাংশই বলেন, আমরা জানিনা কী ঘটছে। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মৃত্যুর কাছাকাছি অভিজ্ঞতা এক ধরনের ঘুম-জাগ্রত অবস্থা। অন্য কোনো প্রজাতিকে মৃত্যুর পর মানুষের মতো আচার পালন করতে দেখা যায় না। এজন্য বিমূর্ত চিন্তা প্রয়োজন, যা প্রাণীরা পারেনা। তবে প্রাণীদের মধ্যে মৃত্যুর উপলব্ধি এবং প্রতিক্রিয়া আছে। আমাদের বেশিরভাগের জন্য, জীবন এবং মৃত্যুর মধ্যে রেখাটি এমন যে- আমরা জীবিত, তাই আমরা মৃত নই। মৃত্যুর পর চুল ও নখ গজায় না। কারণ, নতুন কোষ তৈরি হয় না। গ্লুকোজ কোষ বিভাজন করে এবং কোষের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় গ্লুকোজকে সেলুলার শক্তিতে ভেঙ্গে ফেলার জন্য। মৃত্যু শরীরকে এসব গ্রহণের ক্ষমতাকে শেষ করে দেয়। একটা নির্দিষ্ট সময়, যা নির্ধারিত। তা শেষ হয়ে গেলে মৃত্যু হয়। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ | সময়: ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ