আদমদীঘিতে দু’বছর ধরে একঘরে তিনটি পরিবার

আদমদীঘি প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রভাবশালী আবু নঈম সরকার লিংকনের বিরুদ্ধে দুই বছর ধরে তিনটি পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী লিংকন উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের স্টেশন পাড়া তহীর উদ্দীন সরকারের ছেলে ও পেশায় স্কুল শিক্ষক।
গত ৮ ফেব্রয়ারি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ফেরদৌস ও মোজাফফর এবং আব্দুস সামাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের তিন দিনেও নেই কোন আইনগত পদক্ষেপ। এতে করে দুর্বিসহ ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম স্টেশন পাড়ায় ফেরদৌস হোসেন ও মোজাফফর আলী এবং আব্দুস সামাদ খন্দকার এই তিনটি পরিবারে ১৬ জন সদস্য মিলে বসবাস করেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনপাড়া বাসিন্দারা প্রতি কোরবানি ঈদে সকলের পশু আবু নঈম সরকার লিংকন নামের প্রভাবশালী ব্যক্তির উঠানে জবাই করতেন।
কিন্তু গত তিন বছর আগে আব্দুস সামাদ খন্দকার তাদের উঠানে কোরবানীর পশু জবাই না করে নিজ উঠানে করায় লিংকন তারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তী কোরবানি ঈদে মোজাফ্ফর হোসেন ও ফেরদৌস হোসেন ওই গ্রামের কিছু মাতবরের কথা অমান্য করে একই কাজ করেন।
এরপর লিংকন তার পক্ষের কয়েকজন মাতবরকে একত্রিত করে একটি ঘরোয়া বৈঠক বসিয়ে ভুক্তভোগীদের অনুপস্থিতে তিন পরিবারকে একঘরে করার সীদ্ধান্ত নেয়।
এরপর থেকে একঘরে করা পরিবারের সদস্যদের এলাকায় কোনো দাওয়াতে আমন্ত্রণ এবং তাদের সাথে কাউকে মেলামেশা করতে নিষেধ করছেন। এভাবে গত ২বছর যাবৎ একঘরে হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওই ৩ পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটানায় একটা স্থায়ী সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত মাতবর আবু নঈম সরকার লিংকন বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমারা এই এলাকায় অত্যন্ত সম্মানিত। বরং অভিযোগকারিরা বিভিন্ন জায়গায় আমার এবং আমার বাবার বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা অসামাজীক।
সমাজের সীদ্ধান্তের সাথে কখনোই তারা একমত পোষণ করেনা। এজন্য সমাজের মানুষও তাদের পছন্দ করে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় ফোন রিসিভ করেননি।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২ | সময়: ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ