সর্বশেষ সংবাদ :

নাটোরে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর ও বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামসহ চারটি উপজেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১১টার দিকে জেলার গুরুদাসপুর, সিংড়া, লালপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে এই শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টির বিষয়টি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ নিশ্চিত করলেও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টার দিকে ৪টি উপজেলার ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়।
এরই একপর্যায়ে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। তারা জানান, বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও কোথাও কোথাও শিলার স্তূপ জমে যায়। শিলাবৃষ্টির কারণে আম ও লিচুর মুকুলসহ ধান, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ রসুনসহ সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড়াইগ্রাম উপজেলার রামেশ্বরপুর, রোলভা, খাঁকসা, বাগডোব এলাকা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলের আঘাতে এসব এলাকার অনেক ঘরের চালের টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। গুরুদাসপুর উপজেলার পাঁচশিশা, ধারাবারিষা, শিধুলী, পাটপারা এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এসব এলাকায় আম, ধান, রসুন, তরমুজ, বাঙ্গি, শাকসবজি, গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যান্য উপজেলায় ক্ষতি হলেও তার বিবরণ এখনো জানা যাযনি।
তবে বড়াইগ্রামের রয়না ভরট গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়াহাব জানান, এখন পুরোদমে রসুন তোলার মৌসুম চলছে। কৃষকরা রসুন তুলে জমিতেই শুকাতে দিয়েছিলেন। শিলের আঘাতে এসব রসুনের কোয়া ভেঙ্গে-চুরে গেছে। এছাড়া তরমুজ, কলা ও ভূট্টাগাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরর নাটোরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শিলাবৃষ্টিতে কোথায় কোথায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। মাঠকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরজমিনে জানানোর জন্য। কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ | সময়: ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর