সন্তানের পিতৃত্ব চাই স্ত্রী, স্বামীর অভিযোগ কাবিন নামা জাল !

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :
স্বামীর নামে আদালদে যৌতুক ও নির্যাতনের মামলা করেছে স্ত্রী। অত:পর স্ত্রীর নামে জাল কাবিন নামার অভিযোগ করেছেন স্বামী। উভয় অভিযোগ যখন চলমান ,ঠিত তখন সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে স্বামীর বাড়ি উঠে এসছে স্ত্রী। এ নিয়ে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন গ্রামবাসী । বুধবার (২২ নভেম্বর)সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বাঘার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশিপুর (হরিপুর) গ্রামে ।

 

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশিপুর(হরিপুর) গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ কাফির সাথে চারঘাট উপজেলার পাটিয়া কান্দি গ্রামের সামসুদ্দিন শেখের মেয়ে মমেনা খাতুনের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর মমেনা প্রথম স্বামীকে ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারী তালাক দেয় এবং ২০২১ সালের ১ মে গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে কাফিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ৮ মাসের সন্তান সম্ভাময় হয়। এ সময় কাফি তার স্ত্রীর পিতার কাছে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এই যৌতুক দিতে না পারায় তাকে নির্যাতন শুরু করে। নিরুপায় হয়ে মমেনা খাতুন বাদি হয়ে রাজশাহীর আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
মমেনা খাতুন জানান, বুধবার দুপুরে ১৩ মাসের সন্তান আবদুল মোত্তালেবকে কোলে নিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের পিতৃত্বের দাবি নিয়ে তিনি স্বামীর বাড়িতে যায়। এ সময় স্বামী মোহাম্মদ কাফি ঘাড় ধাক্কা দিযে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

 

 

 

অপর দিকে মোহাম্মদ কাফি বলেন, ১০ লক্ষ টাকার জাল কাবিননামা তৈরী করে আমার নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।আমিও বাদি হয়ে জাল কাবিননামার বিরুদ্ধে রাজশাহীর আদালতে ২০২২ সালের ১৪ আগষ্ঠ মাসে একটি মামলা দায়ের করেছি। মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। তারপরও একটি সন্তান কোলে নিয়ে সে আমার বাড়িতে এসেছিল। আমি বলেছি, যা হবে আদালতে । এক পর্যায় আমি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে মনিগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার তুলশিপুর(হরিপুর) গ্রামের লেলিন উদ্দিন মতিন বলেন, আমার জানামতে উভয়ের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তবে মেয়েটি কোলে একটি সন্তান নিয়ে বুধবার তার স্বামীর বাড়িতে আসার পর অনেক লোকজন সেখানে জড় হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সে বাড়িতে উঠতে পারেনি।

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৩ | সময়: ৯:২১ পূর্বাহ্ণ | Daily Sunshine