রাজশাহীতে নার্সিং ইনস্টিটিউট দখলের চেষ্টা, বেতন কমল পুলিশ সুপারের

সানশাইন ডেস্ক : নিজ এলাকায় একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে জড়িয়ে সেটি দখলের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় টাঙ্গাইলের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরীর বেতন কমানোর সাজা হয়েছে।
আব্দুর রহিমের বেতন তিন বছরের জন্য নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণের ‘গুরুদণ্ড’ দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) থাকাকালে রাজশাহীর একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট পরিচালনার সঙ্গে জড়িয়ে সেটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে রহিমের বিরুদ্ধে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আব্দুর রহিম রাজশাহীর বালিয়াপুকুর দেবীসিংপাড়ার জার্মিনেট প্লাজায় ‘মমতা নার্সিং ইনস্টিটিউট’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনার সঙ্গে যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে সম্পৃক্ত হয়ে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করা, চেয়ারম্যান ও ভবন মালিক হিসেবে ৩০ শতাংশ অংশীদারত্ব দাবি করা, মমতা নার্সিং ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি করা ও তা দখল নেওয়ার চেষ্টা করা এবং এ প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে ২০২০ সালের ১৭ অগাস্ট কারণ দর্শানো নোটিস দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর আব্দুর রহিম কারণ দর্শানোর জবাব দেন জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৪ মার্চ ব্যক্তিগত শুনানি নেওয়া হয়। অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সানা শামীনুর রহমানকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দেন। সেখানে আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রতীয়মান হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অভিযোগ, লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র পর্যালোচনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হলে তিনি তার জবাব দেন।
“আনীত অভিযোগ, প্রথম ও দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব, শুনানিকালে উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক দলিলপত্রাদি বিবেচনায় বিধি মোতাবেক অসদাচারণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আগামী তিন বছরের জন্য আব্দুর রহিমকে ‘নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ’ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”


প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৩ | সময়: ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ