সর্বশেষ সংবাদ :

ভূগর্ভে পানির সংকট

রাসেল সরকার, কেশরহাট: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা জুড়ে অনাবৃস্টি ও বৈষ্যয়িক তাপ প্রবাহের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর স্থিতিশীল থেকে নিচে নেমে যাওয়ায় বাসাবাড়িতে খাবার পানির তীব্র সংকট ও কৃষি জমিতে সেচসংকট দেখা দিয়েছে। সময়ক্ষণে খাবার পানি তোলা গেলেও দীর্ঘসময় পানি না পাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে এ এলাকার মানুষদের।
তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ সংকট অনেকটা দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছে উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প (বিএমডিএ) প্রকৌশলী শাখা।
সরেজমিনে, বসতবাড়ীতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ মটরগুলোয় দীর্ঘসময় পানি উপরে তুলতে পারছেনা। শুধুমাত্র ভোরবেলা পানি পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য বসত বাড়ীর ব্যবহৃত পানিসহ সেচের পানির পর্যাপ্ত সংকট দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে কৃষক পরিবারে অনেকটা হতাশা বিরাজ করছে। কৃষ্ণপুর মৌজার পশ্চিম পাড়া বিলের মৃত মহসিন সরকার নামীয় গভীরনলকূপের অপারেটর বাবু সরকার বলেন, অনেক খরার কারণে বোরো খেতে ঘনঘন সেচ দিতে হচ্ছে। বিদ্যুত ব্যবস্থা ভাল রয়েছে। তবে গভীর নলকূপে ভাল লেয়ার পাচ্ছেনা। এজন্য সেচ কাজে চরম বেগ পেতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুস্তাকিমা খাতুন দৈনিক সানশাইনকে জানান, উত্তরাঞ্চলের বরেন্দ্র এলাকার বহুরুপি ফসল উৎপাদনের অন্যতম উপজেলা হিসেবে প্রসিদ্ধ মোহনপুর উপজেলা। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৬,৬৯০ অর্থাৎ প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোধানের চাষ করা হয়েছে। তবে পানির স্তর নেমে যাওয়ার বিষয়ে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের (বিএমডিএ) সহকারি প্রকৌশলী গোলাম ফারুক দৈনিক সানশাইনকে বলেন, চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে স্বাভাবিক স্তর থেকে পানি নিচে নেমে গেছে।
একারণে বাসাবাড়িতে খাবার পানি ও সেচ প্রকল্পে পানি সংকটের উপক্রম দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে দেবে যাওয়ার কারণে ৩২২টি গভীর নলকূপের কয়েকটিতে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আপাতত আমরা সেগুলো কারিগরি প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধান করতে পেরেছি।
তবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া গভীর নলকূপের তথ্য এখনো আসেনি। আমরা আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে এই প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, ভুতত্তবীরা এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন।


প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩ | সময়: ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ