সর্বশেষ সংবাদ :

প্রিমিয়ার লিগে তামিমের হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ দলের হয়ে সেঞ্চুরির দেখা নেই লম্বা একটা সময় ধরে। কিন্তু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পুরোই ব্যতিক্রম তামিম ইকবাল। গত আসর যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন এবার শুরু করলেন তিনি। বাঁহাতি এই ওপেনার উপহার দিলেন টানা তিনটি শতক!
চলতি আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা তামিমের সেঞ্চুরিতে শুক্রবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারায় প্রাইম ব্যাংক। প্রতিপক্ষকে ১৯৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৪৭ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
অনেকে অবশ্য এটুকু দেখেই ধন্দে পড়ে যেতে পারেন। আগের রাতেই তো সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ে নেতৃত্ব দিলেন তামিম! ব্যাপার হলো, জাতীয় দলের দায়িত্ব শেষে রাতেই ঢাকায় ফিরে শুক্রবার সকালে ফতুল্লায় চলে যান তিনি ঢাকা লিগের ম্যাচ খেলতে।
এই অভিযানে তার সঙ্গী মুশফিকুর রহিমও। প্রাইম ব্যাংকের জয়ে অবদান রাখেন তিনিও। ইনিংস শুরু করতে নেমে দলকে জিতিয়ে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। ১২ চারে সাজানো ১৫৬ বলের ইনিংসে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। গত মৌসুমে লিগের শেষ দুই ম্যাচেও তিন অঙ্কের উষ্ণ স্বাদ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক।
এই ইনিংস খেলার পথে অবশ্য কয়েকবার জীবন পান তামিম। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কামরুল ইসলামের বলে ৫৬ রানে পয়েন্টে তার সহজ ক্যাচ ফেলা। চমৎকার সেঞ্চুরিতে ম্যাচ সেরা তামিম ইকবাল। জাতীয় দলের হয়ে তামিমের সবশেষ সেঞ্চুরি গত বছরের মে মাসে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৮ ইনিংস ব্যাটিং করে এখনও শতকের দেখা পাননি তিনি।
নারায়নগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডানের ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহরা ভালো শুরু পেলেও খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। ২২ রান করে ফেরেন অধিনায়ক ইমরুল। ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি সৌম্য করেন ১৭ রান। আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
দলটির প্রথম ৭ ব্যাটসম্যানের সবাই যান দুই অঙ্কে। কিন্তু কেউই করতে পারেননি পঞ্চাশ। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন ওপেনার মাহিদুল ইসলাম। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাসির হোসেন। দুটি করে প্রাপ্তি রুবেল হোসেন ও রেজাউর রহমান রাজা। তামিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে শুরুটা ভালোই হয় জবাব দিতে নামা প্রাইম ব্যাংকের। তাদের ৭৩ রানের জুটি ভাঙে মিঠুনের বিদায়ে। এরপর দ্রুত বিদায় নেন নাসির ও ইয়াসির আলি চৌধুরি।।
৮৩ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে টানেন তামিম ও মুশফিকুর রহিম। দুইজনের অবিচ্ছিন্ন ১১৯ রানের জুটিতে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় তারা। ১৪৫ বলে ক্যারিয়ারের ২২তম লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তামিম। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ২ চারে ৩৯ রান করে।


প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ | সময়: ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ