বাগমারায় পানির দরে ফুলকপি

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: মৌসুমের শুরুতে যে ফুলকপির দর ছিল একশ টাকা কেজি। পরে দাম কমতে কমতে ২০-৩০ টাকাতে এসে দাঁড়ায়। এখন সেই ফুলকপি পানির দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এতে কৃষক ক্ষতির শিকার হলেও লাভবান হচ্ছেন এলাকার গরু-ছাগলের খামারিরা। তারা স্বল্পমূল্যে ফুলকপি কিনে গরু ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন।
সম্প্রতি বাগমারার শিকদারী, তাহেরপুর, ভবানীগঞ্জ সহ কয়েকটি হাট ঘুরে ফুলকপির এমন করুণ দশা লক্ষ করা গেছে।
ফুলকপির চাষী ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাগমারায় এবার আগাম জাতের ফুলকপি চাষ শুরু করে কৃষকরা। ফলনও হয় ভালো। শুরুতে একশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। পরে অন্যান্য সবজির ব্যাপক উৎপাদনের কারণে ফুলকপি সহ বেশকিছু সবজির দাম পরে যায়। শিকদারী হাটের সবজির বেপারী ফজলু জানান, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার শিকাদারী হাটে ব্যাপক সবজি আমদানী হয়। বর্তমানে এখানে ফুলকপির ব্যাপক আমদানী হলেও ক্রেতার অভাবে দাম পড়ে গেছে।
ভবানীগঞ্জ হাটের সবজি বিক্রেতা সাইদুর রহমান জানান, দুই কেজির উপর বড় সাইজের কপি তিনি দশ টাকা পিচ দরে বিক্রি করছেন। তার মতে, কপির পাইকারি বাজারে দেড়শ টাকা মণ দরেও ক্রেতা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই বাজারেই কপি নিয়ে এসেছেন মাড়িয়ার কৃষক লুৎফর রহমান।
তিনি জানান, দেড়শ টাকা মণ দরে বাজারে কপি এনে ভ্যান ভাড়া ও শ্রমিকের মজুরী ওঠছে না। তাই জমি থেকেই কপি তুলে ফেলে দিচ্ছেন বা গরু ছাগলকে খাওয়ানোর জন্য যে যার মত নিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, কপি চাষীরা আগেই লাভ তুলে নিয়েছে। এখন এটা তাদের বাড়তি লাভ।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩ | সময়: ৬:১১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ