সর্বশেষ সংবাদ :

অহঙ্কারের একুশে

সানশইন ডেস্ক : একুশ বাঙালি জাতির এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের নাম। একুশ বাঙালি জাতির চেতনার প্রেরণা নাম। বাহান্নর ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল শুরু হয়, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে স্লোগান শুরু হয়। পুলিশ নিবির্চারে সেই মিছিলে গুলি ছোড়ে। এতে বরকত, জব্বার, রফিক ঘটনাস্থলে শহীদ হন। মারাত্মক আহত হওয়া সালাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেড় মাস পর মৃত্যুবরণ করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের পাশাপাশি হাজারো জনতা রাস্তায় নেমে আসে। সাধারণ জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শফিউর। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। ১৯৫৪ সালের ৯ মে গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মযার্দা দেয়া হয়। ১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে পরিবতর্ন আনা হয়। কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তজাির্তক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তজাির্তক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মযার্দায় পালিত হচ্ছে। যা বাঙালি জাতির জন্য গবর্ ও অহংকারের বিষয়।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩ | সময়: ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ