ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে তবু পারাপার

টিপু সুলতান, তানোর: রাজশাহীর তানোরে পৌর এলাকার গোল্লাপাড়া থেকে হঠাৎপাড়া গ্রামের যাবার খাড়ির উপর ব্রিজটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্রিজটির পাশে হঠাৎপাড়া গ্রামের তানোর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
রবিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরাসহ দুই গ্রামের মানুষ ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাশের ফাঁকে ব্রিজটির উপর বসে খেলা করে। বর্তমানে ব্রিজটি অবস্থা খুবই ঝঁকিপূর্ণ। ব্রিজের নিচের পলেস্তর খুলে পড়ে গেছে। ফলে পুরো ব্রিজের নিচের অংশটুকুর সব রড বের হয়ে গেছে।
তানোর পৌর এলাকার হঠাৎপাড়া অবস্থিত তানোর বালিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরিদ, নয়ন, জিহাদসহ অনেকে বলেন, সেতুর উপর দিয়ে যাওয়া সময় নড়াচড়া করে। ভয়ে ভয়ে পার হই।
হঠাৎপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফা খাতুন ও সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা কি যে সমস্যায় আছি বলে বোঝাতে পারবোনা। ব্রিজ দিয়ে দুই গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। ব্রিজটি নিচের অংশের সব পলেস্তর খুলে গিয়ে রড বের হয়ে গেছে। এমনকি পিলারগুলো ফেঁটে গেছে। স্কুলের সামনে ব্রিজটি। আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা ওই ব্রিজটির উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।
শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভয় লাগে কখন না জানি কি হয়। যে কোন সময় ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে যেতে পারে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা একাধিকবার লিখিত ভাবে তানোর পৌর মেয়র এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
তানোর পৌর এলাকার হঠাৎপাড়া গ্রামের সমাজ সেবক শহিদুল ইসলাম নান্টু বলেন, ১৯৯৪ সালের দিকে বে-সরকারী এনজিও সিসিডিবি অফিস থেকে প্রথমে ব্রিজ তৈরি করে দেন। পরে ব্রিজটি একপাশে ভেঙ্গে যায়। পরে ১৯৯৭ সালের দিকে এলজিইডি অফিস থেকে ব্রিজটি র্নিমাণ করা হয়।
পানির স্রোতে ব্রিজটি পিলারের নিচের মাটি সরে গেছে। এমনকি রড বের হয়ে পিলার ফেটে গেছে। মানুষ চলাচলের সময় নড়াচড়া করে। যে কোন সময় ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে যেতে পারে। তাই আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ব্রিজটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে একটি ব্রিজ স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
তানোর পৌরসভার মেয়র অসুস্থ থাকায় প্যানেল মেয়র আরব আলী বলেন, ব্রিজটি র্নিমাণ করেছে (এলজিইডি)। আমাদের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ব্রিজটি। মেয়র মহাদয় অসুস্থ বিষয়টি আমি দেখবো। তানোর উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, ব্রিজটির বিষয়ে আমার জানা নেই।
তানোর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাতায়াত করে বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ