মান্দায় দু’শ বিঘার বোরো অনিশ্চিত

মান্দা প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় একটি গভীর নলকূপের নারী অপারেটর পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন কৃষকেরা। বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার গোবিন্দপুর (শাহানাপাড়া) গ্রামের গভীর নলকূপের সামনের রাস্তায় এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে নারী অপারেটর পারুল আক্তার, তার স্বামী রেজাউল ইসলাম ও ছেলে পারভেজের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তাকে পরিবর্তনের দাবি জানান গ্রামের কৃষকেরা।
কৃষকদের অভিযোগ, বোরো মৌসুম শুরু হলেও অপারেটর পরিবর্তনের অভিযোগটি আমলে নেয়নি উপজেলা বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে আশপাশের গভীর নলকূপে সেচ কার্যক্রম শুরু হলেও তাদের জমিগুলো শুকনো অবস্থায় পড়ে আছে। সময়মত সেচপাম্প চালু না হলে তাদের অন্তত ২০০ বিঘা জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার, আবু মুসা মণ্ডল, মোশারফ হোসেন, সোহেল রানা, রহমতুল্লাহ সাকিদার, দারাজ উদ্দিন সাকিদার প্রমূখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গভীর নলকূপটি স্থাপনের পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রিয়াজ উদ্দীন শাহানা অপারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। হঠাৎ করে ২০১৯ সালে বোরো মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে ওই গ্রামের পারুল আক্তার নামে এক ভূমিহীন নারীকে অপারেটরের দায়িত্ব দেন বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, অপারেটর পারুল আক্তারের ছেলে পারভেজ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্কীমের কৃষকদের না জানিয়ে তার মায়ের নামে অপারেটর করিয়ে নেন। এরপর থেকে জোরপূর্বক সেটি তাদের দখলে রেখেছেন। বর্তমানে ওই গভীর নলকূপের যাবতীয় কাগজপত্র তাদের কব্জায় রয়েছে। এতে স্কীমের কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কৃষক মোশারফ হোসেনের অভিযোগ, অপারেটরের দায়িত্ব নিয়ে পারুলের ছেলে পারভেজ ও স্বামী রেজাউল ইসলাম বিগত বোরো মৌসুমগুলোতে প্রতি বিঘায় ১৪০০ টাকা হারে সেচচার্জ আদায় করেন। এছাড়া ধান খেতে সময়মত পানি না দেওয়ায় অনেকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
অবিলম্বে অপারেটর পারুল আক্তারকে পরিবর্তন করে নতুন অপারেটর নিয়োগ দিয়ে সুষ্ঠুভাবে স্কীম পরিচালনার দাবি জানান গোবিন্দপুর মাঠের কৃষকেরা। এ প্রসঙ্গে জানতে অপারেটর পারুল আক্তারের বাড়িতে গেলে সেটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মান্দা উপজেলা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, গোবিন্দপুর শাহানাপাড়া গ্রামে স্থাপিত গভীর নলকূপের অপারেটর পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। স্থানীয় রোষারেষির কারণে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ | সময়: ৬:০০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ