সর্বশেষ সংবাদ :

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ৬.১ ডিগ্রিতে

সানশাইন ডেস্ক: পৌষের শেষে এসে শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়ের মানুষ। এ জেলায় গত দশ দিন ধরে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। তবে প্রায় প্রতিদিনই সকালে রোদের দেখা মিলেছে। শনিবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে; যা চলতি শীত মৌসুমের সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান।
তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি থেকেই পঞ্চগড়ে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। তবে কুয়াশা কম এবং দিনভর কড়া রোদ থাকায় শীতার্তদের দুর্ভোগ অনেকটা কম হচ্ছে। শুক্রবারও তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১০ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৯ এবং ৯ জানুয়ারি ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল তেঁতুলিয়ায়।
শহরের কয়েকজন প্রবীণ জানান, শনিবার ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পঞ্চগড়। কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের কনকনে শীতল বাতাসের কারণে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকেই সূর্যের দেখা মিললেও ঘন কুয়াশার কারণে সূর্য আলো ছড়াতে পারেনি। এজন্য সকাল বেলা অনেকেই খঁড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্ঠা করে।
শহরের ইসলামবাগ এলাকার হাফেজ আলী বলেন, “সকালে সূর্যের দেখা পাওয়া গেলেও রোদ ওঠে অনেক পরে। বেলা প্রায় ১১টা পর্যন্ত তীব্র শীত লাগে গায়ে।” পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর শীতপ্রবণ এই এলাকার মানুষের কথা ভেবে সরকারিভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সুরক্ষিত রাখা হয়। চলতি শীত মৌসুমে এরই মধ্যে সরকারিভাবে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও নতুন করে বরাদ্দ চেয়ে বার্তা পাঠানোা হয়েছে। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ | সময়: ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ