বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের পুনর্ভোটে প্রতি কেন্দ্রে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ থেকে ১৮ জন সদস্য। আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ সংসদীয় আসনে ইভিএমে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে ।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন নিয়োজিত থাকবেন। ভোটকেন্দ্র পাহারায় পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার ও গ্রাম পুলিশ ভোটের আগে-পরে চারদিনের জন্য মোতায়েন থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ছয়টি ভ্রাম্যমাণ ও চারটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের মাঠে থাকবে।
“চার প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের নয়টি টিম আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে। নয় জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুজন বিচারিক হাকিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।” এ উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “ভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রস্তুত। ইভিএম থাকবে, আর সিসি ক্যামেরাও থাকবে।” ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটার মোট ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ইভিএমে ভোট হবে। প্রার্থী: মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ-নৌকা), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি-লাঙ্গল), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা-কুলা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র-আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র-ট্রাক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মারা গেলে তার সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে অনিয়মের কারণে কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন পুরোপুরি (সব কেন্দ্র) বন্ধ করার ঘটনা সেটাই প্রথম।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অনিয়মে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পরে রিটার্নিং অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশের উপ-পরিদর্শক, নির্বাহী হাকিমসহ শতাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
তবে কোনো ধরনের অনিয়মে সম্পৃক্ততার প্রমাণ না পাওয়ায় প্রার্থী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়নি। গত ৬ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের পুনর্ভোটের জন্য ৪ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঠিক করে নির্বাচন কমিশন।
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ঢাকা থেকে পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে এ মনিটরিং সেল পরিচালিত হবে। আইডিইএ-২ এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমকে প্রধান করে গঠিত সেলের অন্য চার সদস্য হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ হেডকোয়াটার্স, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও ভিডিপি এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের প্রতিনিধি থাকবেন তাতে।