বাঘায় টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ !

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)পন্য বিতরণে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহন এবং ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের আওতায় প্রায় ২৪ হাজার গ্রাহক প্রতারিত হলেও আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন চারজন ডিলার।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য স্থীতিশীল রাখতে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সারা দেশে এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য দেওয়া শুরু হয়েছে।এ দিক থেকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌর সভায় চারজন ডিলারের মাধ্যমে ২৪ হাজার পরিবারকে দেয়া হচ্ছে টিসিবি পন্য।

ভুক্তভুগীরা জানান, এর আগে টিসিবি পন্য বিক্রয় করা হতো ট্রাক যোগে। সেখানে বিক্রয়কৃত পন্য প্যাকেট অবস্থা পাওয়া যেতো। কিন্তু বর্তমানে সেটি হচ্ছে না। এখন একেক জন ডিলার ট্রাকে যোগে জেলা থেকে সকল পন্য বাড়িতে এনে তাদের ইচ্ছে মতো প্যাকেট করছেন। আর এই প্যাকেট করার সময় সয়াবিন বাদে চিনি এবং ডালের প্যাকেটে প্রতি কেজিতে প্রায় একশ গ্রাম (ওজন)কম দিচ্ছেন। যার সত্যতা স্বীকার করেন উপজেলার বাজুবাঘা নতুন পাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী মহিল উদ্দিন ভুট্টু।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, টিসিবি কার্ড ধারিরা এক কেজি চিনি ৫৫ টাকা,দুই কেজি মশুরের ডাল ১৩ টাকা এবং ২ লিটার সয়াবিন ৪০৫ টাকায় ক্রয় করবেন। অথচ প্রতি কার্ড ধারির নিকট থেকে নেয়া হচ্ছে ৪১০ টাকা। এ দিকে থেকে একেকজন ডিলার(ওজনের হিসেব বাদে)প্রতিদিন গড়ে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভবান হচ্ছেন।

অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তা ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করে পণ্য বিক্রী করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময় গুলোতে তাদের সার্বক্ষনিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ডিলাররা ইচ্ছে মতো তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।অভিযোগ উঠেছে, সরকার প্রদত্ত টিসিবি পন্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে নিম্ন এবং মধ্য-বৃত্ত পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে মালামাল প্রদান করা হবে। অথচ প্রায় স্থানে দু’চারজন বিত্তবানকে পন্য নিতে দেখা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সরেজমিন বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নে গিয়ে লক্ষ করা গেছে সেখানকার ডিলার ফজলুর রহমান নিজে উপস্থিত থেকে সরকারী কোন কর্মকর্তা(ট্যাগ অফিসার)বাদে টিসিবি পন্য বিক্রী করছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ট্যাগ অফিসার আমাকে মাল বিক্রীর অনুমতি দেওয়ায় আমি পন্য বিক্রয় শুরু করেছি। তিনি রওনা হয়েছেন, হয়তো কিছুক্ষনের মধ্যে পৌঁছাবেন।

অপর একজন বাঘা পৌর সভার টিসিবি ডিলার শাহিন আলম এর সাথে শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি খুচরা টাকা গুনতে সমস্যার কারণে ৪০৫ টাকার স্থলে ৪১০ টাকা নেয়া স্বীকার করলেও ওজনে কম দেয়ার ঘটনা সঠিক নয় বলে দাবি করেন।

সার্বিক বিষয়ে বাঘা উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানা বলেন, আমাকে এসব বিষয়ে কেও কোন অভিযোগ করেনি। গনমাধ্যম কর্মী মাধ্যম আপনার কাছ থেকে প্রথম অবগত হলাম। আমি তদন্ত পূর্বক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।


প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২২ | সময়: ৪:২১ অপরাহ্ণ | সানশাইন