আত্রাইয়ে মোটরসাইকেল রাখায় রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মুখে ঢুকতে প্রতিবন্ধকতা

আত্রাই প্রতিনিধি
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে উঠা নামার প্রবেশের মুখেই মোটরসাইকেল রেখে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে কিছু বিবেকহীন মোটরসাইকেল আরহী।

সরেজামিনে দেখা জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত্রী পর্যন্ত স্টেশনের পশ্চিম ধারে অসংখ্য মোটরসাইকেল সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। এতে ফলের দোকান, চায়ের দোকান দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে ট্রেন যাত্রীসহ পথচারীদের হাঁটতে ও স্টেশনে প্রবেশ করতে শতশত যাত্রীদের ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুসহ ব্যাগ লাগেজ নিয়ে চলাচলে বেগ পেতে হয়। যাত্রীদের কথা ভেবে স্টেশনের প্রবেশ পথে রাখা মোটরসাইকেল, দোকান উ”ছদের পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের।

সাধারণ মানুষ ও ট্রেনযাত্রীদের এহেন সমস্যা যেন দেখারও কেউ নেই। এছাড়াও স্টেশন চত্বরে একটি বড় মসজিদ ও স্টেশনের পূর্ব পাশে কাঁচা বাজার ও উপজেলার সুনামধন্য মৎস্য আড়ত, ও উপজেলা পোস্ট অফিস বিদ্যুতের সাব স্টেশনে হেঁটে যাওয়ার পথও এই এস্টেশনের উপর দিয়ে।

স্টেশনে অবস্থানরত ট্রেন যাত্রী রবিউল ইসলাম জানান, স্টেশনে এমাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত মোটরসাইকেল, সিএসজি রেখে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যাত্রীরা যেতে যে অসুবিধা হয়। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ জরুরী প্রয়োজন।

অপর এক যাত্রী আব্দুর রহমান বলেন, প্লাটফর্মে ফাঁকা জায়গায় কাঁচা সবজি, মাছের বাজার বসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ভিড়ে সবজি বাজার সবসময়ই গমগম করে। ফলে ট্রেন যাত্রীদের ট্রেনে উঠা-নামায় ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা। এছাড়াও রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় এ বাজার চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ছাইফুল ইসলাম জানান, একাধিকবার নিষেধ করার পরও মোটরসাইকেল রাখে, সবজির দোকান দেয়। উপায়ন্ত না দেখে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করছি।
রেলওয়ে আইনে রেললাইন থেকে ৩০ফিট এর ভেতরে কোন স্থাপনা, অবস্থান করা বা দোকান নির্মাণ করা যাবে না। আইন থাকলেও একবারে রেল লাইন ঘেষে মোটরসাইকেল রাখা, ফলের দোকান বসা নিত্য দিনের চিত্র। ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এমন ধারনা প্রতিদিনের ট্রেন যাত্রীসহ এলাকার সচেতন মহল।

সানশাইন/ শামি


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২১ | সময়: ৯:৩৩ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ