শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ইউনূসের বিচার শুরু

সানশাইন ডেস্ক: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলবিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি শ্রম আদালত। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মঙ্গলবার এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন।
এর আগে সকালে আদালতে হাজির হন মুহাম্মদ ইউনূস। আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। ইউনূসের সঙ্গে মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
আদেশের পর ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল হবে না। এ আদেশের বিরুদ্ধে কোয়াশমেন্টে যেতে হবে। যেহেতু এটা ফৌজদারি প্রকৃতির মামলা, কিন্তু আমরা কি করব এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।” গত ৮ মে এই মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। ফলে মামলা চালানোর বাধা দূর হয়।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনে ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে আদালত। একইসঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ ২০২২ সালের ১৩ জুন দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে হাই কোর্টকে নির্দেশ দেয়।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাই কোর্ট শুনানি করে ২০২২ সালের গত ১৭ অগাস্ট রুল খারিজ করে রায় দেয়। ফলে ইউনূসের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন। হাই কোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেন ইউনূস। গত ৩ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানি শেষে ৮ মে সিদ্ধান্ত দেয় সর্বোচ্চ আদালত।


প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ | সময়: ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ