ডেঙ্গুতে মৃতদের মধ্যে ৩৫ শতাংশই শিশু

সানশাইন ডেস্ক: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৫ জন। এরমধ্যে ৩৫ শতাংশই শিশু। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানান, মশা নিয়ন্ত্রণে কোথাও একটা ফাঁকফোকড় থেকে যাচ্ছে। যে কারণে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলছেন, ‘২০১৭ সালে দেশে ডেন-ওয়ান ও ডেন-টু সেরোটাইপ ডেঙ্গুর উপস্থিতি ছিল। এরপর ২০২১ সালে ডেন-থ্রি ছিল। এবার ঢাকার ডেন-ফোরের উপস্থিত পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে কক্সবাজারে ডেন-ওয়ান, ডেন-থ্রি ও ডেন-ফোর সেরোটাইপ ডেঙ্গু হচ্ছে। একাধিক সেরোটাইপে সংক্রমণ ঘটায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি।’
জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. ইকরামুল হক জানান, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ শিশু। যাদের বয়স এক থেকে ১৮ বছর। ২০ বছরের বেশি আক্রান্ত হয়েছে ৬২ শতাংশ মানুষ। আর মৃতদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ শিশু। ২১ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, হাসপাতালে ভর্তির এক থেকে তিন দিনের মধ্যে মারা যান ৪৮ জন। ১৮ জন মারা যান ৩-৬ দিনের মধ্যে, ৬-৯ দিনে মধ্যে মৃত্যু হয় ৬ জনের। আর ৯-৩০ দিনে মারা গেছেন তিন জন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১-১০ বছরের ১২ জন। ১০-২০ বছর বয়সের ১৪ জন, ২০-৩০ বছরের ১৬ জন, ৩০-৪০ বছরের ৮ জন, ৪০-৮০ বছরের ২৫ জন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৬ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ জন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ জন আর ঢাকার বাইরে ৪৮ জন। এরমধ্যে ১৮ জন রোহিঙ্গা। কীটতত্ত্ববিদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘মশা নিধনে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হলে তা মশার জন্য সহনশীল হয়ে পড়ে। তাই কীটনাশক কেনার আগে ৯০ শতাংশ মরবে কিনা সেটি নিশ্চিত হয়ে কেনা উচিত।’


প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২ | সময়: ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর