X
শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৪ মাঘ ১৪২৮
সেকশনস

শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করতে নতুন উদ্যোগ

আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০০

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করতে ইতোমধ্যে দশ বছর পার হয়ে গেছে। দফায় দফায় আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠালেও তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত বছর খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠালে বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়ে আবারও ফেরত পাঠানো হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পর্যবেক্ষণগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে কমিটি পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  এরপর আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে আবার পাঠানো হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।

জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সচিব কমিটির সভায় যে অবজারভেশন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো অর্গাইনাজ করে আমাদের কাছে উপস্থাপনের জন্য আগের কমিটি পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে যে কমিটি ছিল সেই কমিটির অনেকে এখন নেই, সেই কমিটি এখন পুনর্গঠন করা হচ্ছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেওয়া পর্যবেক্ষণ নিয়ে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইনের খসড়াটি পুনর্গঠনে করণীয় নির্ধারণে অনুষ্ঠিত সভায় দুই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পর্যবেক্ষণের আলোকে আইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে আগের কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে অংশ নেওয়া এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। শিক্ষা বিষয়ক অনেক আইন রয়েছে সেসব আইনের সঙ্গে সমন্বয় রাখা, সেসব আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়েছে কিনা যেসব পরীক্ষা করে দেখা এবং প্রয়োজনে খসড়া পরিমার্জন করতে বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শিক্ষা আইনটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন আইন, বিধিমালা এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনসহ সংশ্লিষ্ট সব আইনের একটি আমব্রেলা।  সে কারণে সব বিষয় এই আইনে সমন্বয় থাকবে।  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ খসড়ার বিভিন্ন জায়গায় পরিমার্জনের সুযোগ থাকলে পরিমার্জন করার কথাও বলেছে পর্যবেক্ষণে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে অংশ নেওয়া এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়েও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর সে কারণে বেশি গুরুত্বের সঙ্গে আইনে সংযোজন ও সমন্বয় করার বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ’

গত বছর চূড়ান্ত করা শিক্ষা আইনের খসড়ায় কওমি শিক্ষা বিষয় বলা হয়, ‘সরকার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বিষয়েও অবজারভেশন দিয়েছে।

গত বছর ২ মে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন ‘শিক্ষা আইন দীর্ঘ দিনেও চেষ্টা করে করা যায়নি। এখন সেটি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের দিক থেকে আমরা চূড়ান্ত করেছি। এটি মন্ত্রিপরিষদের যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। শিক্ষা আইনটি হলে শিক্ষার ক্ষেত্রে যে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে সেগুলো আমরা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো।’

এর কিছুদিন পর চূড়ান্ত করা আইনের খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ খসড়াটি যাচাই-বাছাই করে বেশ কিছু অবজারভেশন দিয়ে আবার ফেরত পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অবজারভেশন নিয়ে গত বছর ১৩ অক্টোবর বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই সভার সভার সিদ্ধান্তের আলোকে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন পুনর্গঠনে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

/এমআর/
সম্পর্কিত
বিশ্বমানের পুলিশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্বমানের পুলিশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র‍্যাব আস্থার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র‍্যাব আস্থার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
‘জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ চলছে‌‌’
‘জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ চলছে‌‌’
শেষ হলো সংসদের ষোড়শ অধিবেশন
শেষ হলো সংসদের ষোড়শ অধিবেশন
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
বিশ্বমানের পুলিশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্বমানের পুলিশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র‍্যাব আস্থার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র‍্যাব আস্থার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
‘জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ চলছে‌‌’
‘জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ চলছে‌‌’
শেষ হলো সংসদের ষোড়শ অধিবেশন
শেষ হলো সংসদের ষোড়শ অধিবেশন
ইউক্রেন নিয়ে ঢাকাকে নিজেদের অবস্থান জানাতে চায় ইইউ
ইউক্রেন নিয়ে ঢাকাকে নিজেদের অবস্থান জানাতে চায় ইইউ
© 2022 Bangla Tribune