সর্বশেষ সংবাদ :

নানা আনুষ্ঠানিকতায় ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্যের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পালন করা হলো সেই রাজ্যের ৫০তম পূর্ণরাজ্য দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনেই পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পায় ত্রিপুরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়। তবে রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ছিলো পূর্ণরাজ্য দিবস পালনের মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একটি উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উন্নয়নের রূপরেখা সম্বলিত ‘লক্ষ্য-২০৪৭’ এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, বিশেষ করে পরবর্তী প্রজন্ম অর্থাৎ যুব সম্প্রদায় আগামী ২৫ বছরে ত্রিপুরাকে কিভাবে সাজিয়ে তুলবে এবং ত্রিপুরার উন্নয়নে নিজেকেও তারা কিভাবে যুক্ত করবে তাও তুলে ধরা হয়েছে এই ‘লক্ষ্য-২০৪৭’ এর মাধ্যমে। পূর্ণ রাজ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজ্যের (ত্রিপুরা) মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, পূর্ণরাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই অবহেলিত করে রাখা হয়েছিলো ত্রিপুরা রাজ্যসহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ সালে রাজ্যে মাথাপিছু গড় আয় ছিলো ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৭৪ টাকা। ২০২০-২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৯৫ টাকা। ২০১৭-১৮ সালে কৃষকদের আয় ছিলো ৬,৫৮০ টাকা। কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃষকদের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯৩ টাকা। রাজ্যটির উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা বলেন, ৫০ বছরের এই সুদীর্ঘ সময় অনেক বদলেছে রাজ্য। রেল পরিষেবা সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে নানাদিক দিয়ে উন্নতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছরের পুরনো রিয়াং শরণার্থী সমস্যাও সমাধান হয়েছে। সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে মিশন ১০০ বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও ৬ টি জাতীয় সড়ক প্রকল্প পেয়েছে রাজ্য। গুটি গুটি পায়ে এখন এভাবেই উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে ত্রিপুরা। অনুষ্ঠানে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীসহ শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, শ্রমমন্ত্রী ভগবান দাস, কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২ | সময়: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর