৫ জন সদস্য নিয়ে মেহেরাব হোসেন জিমের পথ চলা শুরু।

সানশাইন ডেস্ক;

২০১৬ সালে ১৪ বছর বয়সে মাত্র ৫ জন সদস্য নিয়ে মেহেরাব হোসেন জিম সামাজিক সংগঠন “শিক্ষার্থী সহযোগিতা সংগঠন” নিয়ে কাজ শুরু করেন। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার আগে তাকে ২ টা জিনিস ভাবিয়েছে ; অসহায়দের জন্য কিছু করা আর গ্রামের ছোট ছোট মেয়েদের দূরত্ব বিয়ে দিয়ে দেওয়া।

মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে তারা সংগঠনের প্রথম প্রোগ্রাম করেন। মেহেরাব ১০০,তার বোন ১০০ আর তার ক্লাসের সকল বন্ধুরা মিলে ৩০০ টাকা দেয়। তারা এই ৫০০ টাকা ১০ জন গরীব অসহায় মানুষদের ময়দা,সেমাই কিনে দিয়ে শুরু করে সংগঠনের কাজ।

সংগঠনটি ইতিমধ্যে ছয় বছর পার করছে আর তাদের সদস্য সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এই সময়ে তারা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, এছাড়াও তারা অসহায় শিক্ষার্থীদের জামা – শিক্ষা উপকরণ দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আরও আমরা প্রতিনিয়ত এতিমবাচ্চাদের খাবারের আয়োজন করে চলেছে।পথশিশুদের খাবার বিতরণ এবং বাংলাদেশকে সবুজয়ে পরিপূর্ণ করতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, পরিষ্কার কর্মসূচি করেছে। মাদক ও বাল্যবিবাহ নিয়ে কাজ করছে। এখন করোনার সময় আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফ্রি ভ্যাকসিন নিবন্ধন করে চলেছে। নদী পারে ৫৫০ হাত সাঁকো নির্মাণ ও আরো ছোট ছোট সাঁকো নির্মাণ থেকে শুরু করে নদী পারের মেয়েদের স্যানেটারি ন্যাপকিন বিতরণ করেছে।এখন তারা করোনা কালে ঝোরে পড়া শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

সংগঠন সুত্রে জানা যায়, সংগঠনটি প্রথমে টিফিনের টাকায় যাত্রা শুরু করে। আর বর্তমানে সংগঠনটি ফেসবুক গ্রুপকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই ফেসবুকের কল্যাণে সংগঠনের কাজ এখন ফুলে ফেঁপে উঠেছে। তারা সব সময় কে তাদের সংগঠনে টাকা দান করছে আর ঐ টাকা কোথায় ব্যয় করছে তা তার গ্রুপে প্রকাশ করে।

অসহায়ের জন্য কাজ করে তার পারিশ্রমিক হিসেবে সেই মানুষগুলোর তৃপ্ত হাসি মেহেরাব হোসেন জিম এর সবচেয়ে বড় শক্তি এবং প্রাপ্তি। তিনি বলেন, পড়াশুনায় তো আমরা ২৪ ঘন্টা সময় ব্যয় করি না। অপচয় হয় অনেক মুল্যবান সময়। এই সময় টা অপচয় না করে সমাজ বিনির্মানে দিলে তাতে ব্যাক্তি, পরিবার তথা পুরো দেশের জন্যই মঙ্গলের হয়।ইচ্ছা শক্তিই জগৎ কে পরিচালনা করে থাকে।আমদের সবার মনে ইচ্ছা জাগা উচিৎ আমরা আর কাউকে না খেয়ে থাকতে দিবো না।”

মেহেরাব জিম আরও বলেন,”এই পৃথিবীতে আমরা সবাই এসেছি খুবই কম সময়ের জন্য, তাই মানবিক কাজই আমাদের এই ভ্রমণকে সত্যিকারের আনন্দময় করতে পারে,যত বেশি ভাল কাজ,যত বেশী মানবিক কাজ তত বেশী মানষিক শান্তি। সেচ্ছাশ্রম এর মাধ্যমে তৈরী হয় বিশাল নেটওয়ার্ক।তাই সবার উচিৎ জীবনে একবার হলেও স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত হওয়া”।

বর্তমানে তাদের সংগঠনের পরিকল্পনা হল, প্রশাসনিক সহায়তার সাহায্যে গ্রামীণ নারীদের পারিবারিক সহিংসতা মোকাবেলায় সাহায্য করার জন্য একটি অ্যাপ চালু করা । এছাড়াও তারা চরে কিছু স্কুল করবে যাতে ছোট ছোট বাচ্চারা ফ্রিতে পড়াশোনা করতে পারে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২২ | সময়: ৯:৪০ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ