মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
নুরুজ্জামান,বাঘা: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানার কড়া নজরদারিতে সুষ্ট ও সুন্দর পরিবেশে স্বল্প মুল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে (ওএমএস)এর চাল ও আটা। উপজেলার দু’টি পৌর সভায় আট জন ডিলারের মাধ্যমে এই সুবিধা পাচ্ছে শ্রমজীবী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। রবিবার গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে অসংখ্য হতদরিদ্র মানুষকে এ উপকরণ নিতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য শস্যের বাজার মূল্যের উর্ধ্বগতির প্রবনতা রোধ, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে মুল্য সহায়তা দেয়া এবং বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষে সারাদেশে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী চাল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রম ব্যাপক ভাবে বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ ও মূল্যস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমজীবী ও প্রান্তিক মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য বাজেট বরাদ্দের বাইরে তিন লাখ টন চাল ও এক লাখ টন গমের বাড়তি বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বাঘা উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকার প্রদত্ব এই সুবিধার মধ্যে পড়েছে উপজেলার দু’টি পৌর সভা বাঘা ও আড়ানী। এ দিক থেকে বাঘায় মোট পাঁচজন ডিলার এবং আড়ানী পৌর সভায় তিনজন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস সুবিধা পাচ্ছে শ্রমজীবী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। এদিক থেকে কোন ডিলারের মাধ্যমে যাতে কোন অনিয়ম না হয়, সে জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রত্যেক ডিলারের কাছে রেখেছেন একজন করে ট্যাগ অফিসার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন একটন চাল এবং একটন আটা বিক্রী করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ টাকা কেজি, প্রক্ষান্তরে আটার মূল্য ধরা হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি।এ দিক থেকে প্রতি ডিলারের কাছে একটি পরিবার ক্রয় করতে পারবে পাঁচ কেজি চাল এবং পাঁচ কেজি আটা। প্রক্ষান্তরে সাতটি ইউনিয়ন পর্যায়ে একাধিক ডিলারের মাধ্যমে কার্ড ধারীরা দুস্থরা পাচ্ছে দশ টাকা কেজি চাল।
এ বিষয় গুলো নিয়ে পৃথক ভাবে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন সমাজের সুধীজন ও অভিজ্ঞ মহল। তাঁরা বলছেন, বৈশিক মহামারি করোনা যখন সারা বিশ্বকে কাপিয়ে তুলেছে তখন বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্র গনহারে করোনা প্রতিশোধক টিকা দেয়া-সহ গ্রামের দুস্থ মানুষকে স্বল্প মুল্যে খাদ্য সরবরাহ এবং শহরে টিসিবি পন্য দেয়ার মাধ্যমে প্রশংসিত হচ্ছেন।
বাঘার আমোদপুর গ্রামের দিন মজুর শহিদুল ইসলাম জানান, আমি প্রতি একদিন পর-পর (ওএমএস)ডিলারের কাছ থেকে ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি চাল এবং ১৮ টাকা কেজি হিসাবে পাঁচ কেজি আটা ক্রয় করতে পারি। যা বাইরে কিনতে গেলে এর ডাবল পরিমান টাকা লাগবে। এ জন্য আমি বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। কারণ এই সরকার গরিব দু:খিদের জন্য যা করছেন তা বিগত সময়ে কেউ করেনি । একই কথা বলেন উত্তার মিলিক বাঘার সুলতান আলী ও গাওপাড়া গ্রামের মনির উদ্দিন ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, বাঘায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭ হাজার ৭০১ জনের নামে ১০ টাকা দরে চাল পাওয়ার কার্ড রয়েছে। এ ছাড়াও দুই পৌর সভায় আট জন ডিলারের মাধ্যমে সপ্তায় ছয় দিন একটন করে চাল এবং একটন করে আটা সরবরাহ করা হচ্ছে। আর সেখানে যাতে করে কোন অনিয়ম না হয় এ জন্য উপস্থিত থাকছেন একজন করে সরকারি কর্মকর্তা(ট্যাগ) অফিসার। এ থেকে উপকৃত হচ্ছে সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষ।