বাঘায় চেয়ারম্যান পদে ৯ প্রার্থীর দু’জনকে বহিস্কার,মাঠ দখলে আ’লীগ

নুরুজ্জামান,বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দু’টি ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী দুই প্রার্থীকে দল থেকে চিরতরে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সাথে ঘোষনা দেয়া হয়েছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে দলীয় পদধারী কোন নেতা ভোট চাইতে গেলে তাদেরকেউ পদ হারাতে হবে। এর ফলে অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বিদ্রোহীরা । আর সুবিধা জনক অবস্থায় রয়েছে নৌকার তিন মাঝি।

স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলা আ’লীগের নেত্রীবৃন্দ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী এবং স্থানীয় সাংসদের সম্মান অক্ষুন্য রাখা-সহ উন্নয়ন ধারাকে আরো গতিশীল করার লক্ষে প্রতিদিন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে পৃথক-পৃথক ভাবে তিন ইউনিয়নে ভোট চাইতে যাচ্ছেন। এর ফলে দিন যতো ঘনিয়ে আসছে, ততোয় চাঙ্গা হচ্ছে নৌকার মাঝি তথা দলীয় তিন প্রার্থী যথাক্রমে-আড়ানী ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম রফিক, বাউসায় শফিকুর রহমান শফিক এবং চকরাজাপুরে বাবলু দেওয়ান।

অপর ৬ জন সতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি থেকে দু’জন সতন্ত্র হিসাবে ভোট করছেন। এছাড়াও বাউসা ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী হিসাবে রয়েছেন নুর মোহাম্মদ তুফান এবং চকরাজাপুরে আজিজুল আযম।তাদেরকে দল থেকে ইতোমধ্যে বহিস্কার এবং কর্মীদের প্রতি হুশিয়ারী দেওয়ায় এই দুই প্রার্থী এখন পর্যন্ত সুবিধা জনক অবস্থানে নেই বলে জানান এলাকাবাসী ও ভোটারগণ।বাঁকি তিনজন সতন্ত্র প্রার্থী হলেও তাদের কোন অবস্থান নেই।

এদিকে বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন জানান, দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে আড়ানী এবং বাউসায় ভোট করছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পদধারী দুই সতন্ত্র প্রার্থী।যথাক্রমে আড়ানীতে নাসির উদিন এবং বাউসায় আনোয়ার হোসেন পলাশ। তবে কেন্দ্রীয় ভাবে বিএনপি থেকে ভোট বর্জনের ঘোষনা দেওয়ায় উপজেলা এবং পৌর বিএনপির কোন নেত্রীবৃন্দ এখন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় যায়নি ।যারা ভোট করছেন-তারা নিজ দায়িত্বে।

নাম প্রকাশ না করার সর্তে বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, এই ইউনিয়নে দলের মধ্যে অন্তদ্বন্দ্ব থাকায় বিএনপি’র একটি পক্ষ আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্য ভোট চাচ্ছেন বলে অভিযোগ ছুড়ছেন সাবেক বাঘা উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্যে এবং সতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পলাশ।এতে করে তাদের অন্তদ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে রুপ নিচ্ছে।এই ইউনিয়নে বিএনপির বেশ কিছু ভোট আ’লীগ বিদ্রোহীর পক্ষে যাবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।

সরেজমিন শুক্রবার উপজেলার আড়ানী এবং চকরাজাপুর ইউয়ন ঘুরে লক্ষ করা গেছে, আ’লীগ বিদ্রোহী দুই প্রর্থীর নিজ ওয়ার্ড ছাড়া অন্য এলাকায় তেমন কোন পোষ্টার নেই ।এ বিষয়ে জানতে চাইলে, আ’লীগ সমর্থীত তৃনমুলকর্মীদের বক্তব্য , আমরা মুল শ্রোতধারার সাথে রাজনীতি করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রতীক নৌকা যার হাতে তুলে দিয়েছেন তার বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

তারা আরো বলেন, এ বছর প্রথম-দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি এবং জামাত সমর্থীতরা বিদ্রোহীকে ভোট দিয়ে পাশ করালেও বাঘায় সেটি হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।কারণ এটি তিন-তিনবার নির্বাচিত সাংসদ ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এলাকা। এখানে বিএনপি-জামাত এর চেয়ে বর্তমানে আ’লীগের ভোট অনেক বেশি।যদি-নারী-পুরুষ সবাই মিলে ভোট দিতে যান তাহলে নৌকার বিজয় সু-নিশ্চিত।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২১ | সময়: ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ