স্টাফ রিপোর্টার: রহমতের সুসংবাদবাহী মাহে রমজানের আজ সপ্তম দিবস। চলমান মাহে রমজান আমাদের চেতনা সমৃদ্ধির মৌসুম। বর্তমান সমাজে ‘চেতনা’ শব্দটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ। যে কোন ব্যাপারে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কার্যপরিসরে মৃতপ্রায় ও উদাসীন এ সমাজকে জাগিয়ে তোলার জন্য আমরা ‘চেতনা’র প্রয়োগ করি। কিন্তু একটি বিশেষ চেতনা জাগরূক করতে পারলে আমাদের হাজার অচেতন অবস্থা কেটে উঠত। মানুষ ধনের প্রতিযোগিতা, মানের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতো না; অবতীর্ণ হতো সত্যনিষ্ঠ ও আমানতদার প্রমাণের প্রতিযোগিতায়। কিভাবে সততার সঙ্গে অল্পে তুষ্ট থেকে জীবন কাটানো যায় তা খুঁজে বের করত সচেতন মানুষ। ফলে লাভ হতো যে, প্রতিযোগিতার বাজারে দুর্বল শ্রেণী মাঠে মারা যেত না, ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার লোভ ও স্বার্থে মানুষ যা-তা করার সাহস পেত না, দুর্নীতি আর দুর্নীতিবাজ দুটোই নিপাত যেত। লোকেরা আপনাতে আপনি মগ্ন হতো। অন্যের অনিষ্ট চিন্তা না করে ত্যাগী মনোভাব নিয়ে সমাজ সুন্দরে অবদান রাখত। সে বিশেষ চেতনাটি হলো আখিরাতের ভয় বা পরকালীন চেতনা। মনে মনে এ হিসাবটা বার বার করে দেখা যায় যে, আমার সুনির্দিষ্ট এ দুনিয়াবী জীবনের পরে বহুত কষ্টার্জিত ধনসম্পদ আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকছে কিনা। বস্তুত দেখা যায়, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বাদশাহ থেকে নগণ্য ফকির পর্যন্ত জন্মকালীন যে অসহায় অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়, ঠিক একই অসহায় ও নিঃস্ব বদনে ভূগর্ভে (মাটির নিচে) চলে যেতে হয়। কোন এক মহত্তর চেতনা শক্তির অভাবে বনী আদম আজ পথভ্রষ্ট, দিকভ্রান্ত, ধনবৈভবের প্রতিযোগিতায় এখন না পারছে নিজের জন্য চিন্তা করতে আর না পারছে অন্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াতে। মানব জীবনের এ এক বড় ত্রুটি, বড় বোকামি বৈ কিছু নয়।
মাহে রমজান
মে ১৩
০১:৫০
২০১৯