সর্বশেষ সংবাদ :

বিজয়ের মাস

সানশাইন ডেস্ক : একাত্তরের ৫ ডিসেম্বর। সে এক উন্মাদনার সময়। হত্যা ও ধ্বংসের বিভীষিকায় বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে মুক্তিপাগল বাঙালী। চারিদিকে বিজয়ের রণধ্বনি। রক্তক্ষরা ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার আকাশ পুরোপুরি মিত্রবাহিনীর দখলে। পাকবাহিনীর সকল জঙ্গী বিমান নিঃশেষ হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দখলমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার দিকে আসতে থাকেন। সম্মুখযুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধেও হারতে থাকে পাকিস্তান।
এ সময় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চোখে রাজনীতির এক নতুন প্রেক্ষাপট হয়ে ওঠে যুদ্ধরত বাংলাদেশ। কামান-গোলাসহ মারণাস্ত্রের সামনে যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে বাংলার মুক্তিসেনাদের সম্মুখযুদ্ধ দেখে বিস্মিত হয়ে যায় গোটা পৃথিবী। বিশ্ব রাজনীতির খেলায় ধীরে ধীরে বন্ধুহীন হয়ে পড়ে বর্বর রাষ্ট্র পাকিস্তান। জাতিসংঘে উত্থাপিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবও নাকচ হয়ে যায়।
ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাঙালীর সম্মুখযুদ্ধে একের পর এক পরাজয়ে পায়ের তলা থেকে মাটিও সরে যেতে থাকে পাক হানাদারদের। তার ওপর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর শাণিত আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তানী সৈন্যরা। ইয়াহিয়া বুঝতে পারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এখন সময়ের ব্যাপারে মাত্র। পাকিস্তান পরাজয়ের বিষয়টি বুঝতে পেরে নতুন কূটকৌশলে কূটনৈতিক যুদ্ধ শুরু করে।
পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করে। পাকিস্তানকে রক্ষায় নগ্ন উদ্যোগ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একাত্তরের এই দিনে পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পেশ করে। এ প্রস্তাবের পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহারসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করে।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১ | সময়: ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ