সাপাহারে পানির নিচে কৃষকের স্বপ্ন

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

সাপাহার উপজেলার পুড়ইল বিল এলাকার কৃষকদের প্রায় শত বিঘা জমির বোরো ধান এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সাপাহার উপজেলার পুড়ইল বিল এলাকার কৃষকদের প্রায় শত বিঘা জমির বোরো ধান এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

বৃষ্টির পানি ও ঢলের পানিতে সীমান্ত ঘেঁষা পুণর্ভবা নদীর পানি হঠাৎ করে বেড়েছে। সাপাহার উপজেলার পুড়ইল বিল এলাকার কৃষকদের প্রায় শত বিঘা জমির বোরো ধান এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সাপাহার উপজেলার হাপানিয়া, আলাদিপুর, বেলডাঙ্গা, আন্ধার দিঘী, শ্রীধরবাটিসহ বেশ কিছু গ্রামের অসহায় কৃষককে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমিতে দাঁড়িয়ে বিলাপ করে কাঁদতে দেখা গেছে। নওগাঁর কৃষক আব্দুল জব্বারকে তার তলিয়ে যাওয়া ক্ষেতের ধান সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গতকাল বুধবার ভোরে দেখা যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কাঁদছেন। এসময় বেলডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ইয়াহিয়া, জলিল ও এরশাদ আলী বলেন, এই বিলে আমার ৫ বিঘা জমিতে ধান লাগানো ছিল কামলা সংকটের কারণে ক্ষেতের ধান কাটতে একটু দেরী হওয়ায় দু-এক দিনের মধ্যে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে তার সহ অসংখ্য কৃষকের জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পুড়ইল বিল নামক ওই বিল থেকে কৃষক ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেনি। যে কৃষক দু-এক বিঘা জমির ধান কেটেছিল হঠাৎ ঢলের পানিতে কাটা ধানগুলিও ভেসে চলে গেছে।

তড়িৎগতিতে বিলের পানি নেমে না গেলে কোন কৃষকই ওই মাঠ থেকে এক মন ধানও ঘরে তুলতে পারবেনা। পাকা ধানে মই দেয়ার মত হঠাৎ ঢলের পানিতে ওই এলাকার শত শত কৃষকের সোনালী স্বপ্নগুলি এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে ক্ষেতের মধ্যে দাঁড়িয়ে কৃষকদের এমন বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। তড়িৎগতিতে বিলের পানি নেমে না গেলে কৃষক এক মন ধানও ঘরে তুলতে পারবেনা। তড়িৎগতিতে বিলের পানি নেমে না গেলে কৃষক এক মন ধানও ঘরে তুলতে পারবেনা।

কৃষক আব্দুল জব্বারকে তার তলিয়ে যাওয়া ক্ষেতের ধান সংগ্রহ করতে দেখা গেছে মাঠের পানিতে। জব্বার বলেন, আমার তো সবই গেছে এখন যা পাই তাই সংগ্রহের চেষ্টা করছি মাত্র।

উপজেলা কৃষি দপ্তরের কৃষি-সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, তিনি সরেজমিনে তদন্ত করেছেন তার মতে ওই এলাকায় একশ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ রয়েছে পানির নিচে। পুড়ইল বিল এলাকায় ক্ষেতের ধান তলিয়ে যাওয়ায় শত শত কৃষকের দুশ্চিন্তায় সেখানকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।

 

সানশাইন/তৈয়ব


প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২ | সময়: ৯:০৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine