শুক্রবার থেকে রাজশাহীতে পাওয়া যাচ্ছে গুটি আম

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :

রাজশাহীতে আম পাড়ার সময় বেঁধে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। অসময়ে অপরিপক্ক আম সংগ্রহ বন্ধ রাখতে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক শুক্রবার (১৩ মে) সকাল থেকে বিভিন্ন জাতের গুটি আপ পাড়া শুরু করেছেন আম ব্যবসায়ীরা। এরপর সেই আম গুলো ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে চালান দেয়ার লক্ষে নিয়ে আসছেন খুচরা বাজার সহ আড়তে।

 

সরেজমিন শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে এসে লক্ষ্য করা গেছে, আক্কাস আলীর আড়তে এক ক্যারেড (ঝুরি) পাকা আম-সহ ৬ ক্যারেড আম রেখেছেন একজন ব্যবসায়ী। এমনি ভাবে আরো অনেক ব্যবসায়ী সেখানে আম নিয়ে আসবেন। উদ্দেশ্য আড়ৎ থেকে ট্রাক যোগে ঢাকায় আমদানি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ ভাবে সময় মেনে নামানো রাজশাহীর বিষমুক্ত আম হবে পুরো দেশের জন্য মৌসুমি উপহার।

 

আমের আড়ৎদার আক্কাস আলী বলেন, জেলা প্রশাসনের বেধে দেয়া সময় মেনে যদি ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে আম নামান তাহলে আমের গুনগত মান এবং স্বাদ হবে সম্পুর্ন আলাদা। তিনি তাঁর অধিনে যে সব ব্যবসায়ীরা আম দেশের বিভিন্ন শহরে পাঠাবেন তাদেরকে এই নির্দেশ মানার জন্য অনুরোধ জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।

 

সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তরের সমান্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় ১৩ মে শুক্রবার থেকে সকল প্রকার গুটি আম পাড়া-সহ ২০ মে থেকে গোপাল ভোট, ২৫ মে লক্ষন ভোগ (লকনা) ও রানী পছন্দ, ২৮ মে থেকে হিমসাগর (খিরশাপাত) ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আমরুপালী ও ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারী ফোর, ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতি এবং ২০ আগষ্ট থেকে নতুন জাতের ইলামতি পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সে মোতাবেক শুক্রবার থেকে রাজশাহী-সহ এ অঞ্চলের সবচেয়ে আম প্রধান এলাকা বাঘা উপজেলায় বিভিন্ন জাতের গুটি আম পাড়তে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা ।

 

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল হক এর দিক নির্দেশনায় অপরিপক্ব আম বাজারজাত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সুষ্ঠুভাবে মনিটরিং করে নির্দিষ্ট সময়েই আম নামানো হবে। আর এই নির্দেশনা যদি কেউ অমান্য করে তাহলে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরিপক্ব আম নামানোর বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠোর ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, আমের রাজধানী রাজশাহীর ৯ টি উপজেলায় যে পরিমান আম উৎপাদন হয়, তার সমপরিমান আম উৎপাদন হয় জেলার বাঘা উপজেলায়। এ উপজেলার প্রধান অর্থকারী ফসল আম। এখানে ৯ হাজার ২ শ’ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে বলে তিনি জানান। অপর দিকে রাজশাহী কৃষি বিভাগ এ বছর ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে থাকা বাগান থেকে ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২২ | সময়: ৬:০৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine