আম পাকা শুরু হলে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন : শফিউল্লাহ সুলতান

নুরুজ্জামান ,বাঘা : রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আম। বাঘা উপজেলার মোট ফসলি জমির অর্ধেক জমিতেই আম বাগান রয়েছে। বলা বাহুল্য, রাজশাহীর সকল উপজেলায় যে পরিমান আম উদপাদন হয়, তার চেয়েও বেশি পরিমান আম উৎপাদন হয় সীমান্তবর্তী বাঘা উপজেলায়।

বাঘার আম রাজশাহীর অন্যান্য উপজেলা এবং বাংলাদেশের সকল জেলার আম থেকে স্বাদে এবং গুণে অনন্য। আগে বাঘার আম সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের সেরকম ধারণা ছিল না, তবে ধীরে ধীরে এই উপজেলার উৎপাদিত আমের স্বাদ এবং গুণের কথা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। বাঘার আমের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে আম চাষী এবং ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব এখন পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি। তাঁরা যেনো উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক সময়ে পরিপক্ক আম ভাঙ্গেন সে জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আহবান জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতার।

তাঁর মতে, রাজশাহী জেলায় প্রতি বছর আম পাড়ার সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। সাধারণত মে’ মাসের ২০ তারিখ থেকে গোপালভোগ আম পাড়ার সময় শুরু হয়। কিন্তু বৈশাখী এবং গুটি আম পাড়ার সময় নির্দিষ্ট করা হয় না! এক্ষেত্রে বৈশাখী ও গুটি আম গাছে পাকা শুরু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে আম পরিপক্ক ও পাড়ার উপযুক্ত কিনা সেটা যাচাই করার অনুরোধ করেছেন কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান!

তাঁর মতে, বৈশাখী ও গুটি আম পাড়ার সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও আমবাগানী বেশি মুনাফার লাভের আশায় অন্যান্য জাতের আম পরিপক্ক না পেড়ে বিভিন্ন হরমোন মিশিয়ে তা বাজারজাত করার চেষ্টা করেন! এই অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে প্রকৃত আম বাগানীরা বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় পড়েন, যার প্রেক্ষিতে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যেও আম নিয়ে একটা উৎকণ্ঠা বিরাজ করে এবং আমের প্রকৃত স্বাদ থেকে মানুষ বঞ্চিত হন। কাজেই এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে হলে আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত উন্নত দেশে যতো গুলো স্থানে আম সরবরাহ করা হয়েছে তার মধ্যে বিশ্ব জুড়ে সমৃদ্ধ লাভ বরেছেন রাজশাহী জেলার বাঘারে আম ।এ উপজেলার আম স্বাদে গুনে ও ঘ্রানে ভরপুর হওয়ার কারনে দেশের বিভিন্ন কম্পানী গত কয়েক বছর ধরে দেশের গন্ডি পেরিয়ে পাশ্বাস্ত উন্নত দেশে গুলোতে আম চালান দেয়া শুরু করেছে।

বিশেষ করে ইউরোপ, আমেরিকার ,নিদার ল্যান্ড, মকান্ডা,বাঘার আমের যথেষ্ট কদর ও চাহিদা রয়েছে।হরটেক ফাউন্ডেশন সহ বেশ কিছু আন্তজানিত সংগঠন এ দেশের গোপাল ভোগ ,ল্যাংড়া এবং হিসসাগর আম বিদেশে রপ্তানী করে ব্যাপক মুনাফা অর্জন করছেন। এ থেকে আম ব্যবসায়িরাও সাফলের মুখ দেখছেন।

বাঘার সুনাম ধন্য আম ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন জানান, করোনা কালিন সময় পর-পর তিন বছর আমে কিছুটা লস হয়েছে। এবার দেশে আম কম রয়েছে, আশা করছি বিগত সময়ের লসটা এবার পুশিয়ে নেব।

সার্কিব বিয়ে বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লহ সুলতার বলেন, আমের জন্য বছর ভ্যারি করে। এক বছর বেশি আম উৎপাদন হলে,অন্য বছর এমনিতে একটু কম হয়। তবে এ বছর আমের বাজার স্থিশীল তাকবে বলে বন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর মতে বাঘা ৫ শ বছরে ঐতিয্য বাড়ী শাহী মসজিদের টেরা কোটায় আমের ছবি প্রতিয়মান। এ থেকে এটায় প্রমানীত হয়ে বাঘা আমের জন্য বিখ্যাত।


প্রকাশিত: মে ৫, ২০২২ | সময়: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ | সানশাইন