পুঠিয়ার পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন খানের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তার ব্যবসায়ীক অংশীদার মনিরুজ্জামান আইনজীবীর মাধ্যমে ওই টাকা পরিশোধের জন্য মেয়রকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। 

নোটিশে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজশাহী বারের অ্যাডভোকেট আজমত হোসাইন লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন।

এ বিষয়ে পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন খান জানান, তিনি এমন কোনও নোটিশ পাননি। টাকা নেওয়ার বিষয়টিও সঠিক নয়। লিগ্যাল নোটিশ হাতে পেলে তখন এ বিষয়ে বলতে পারবেন।

গত ১৫ নভেম্বর পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, মোট পাঁচটি চেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন মেয়র আল মামুন। নোটিশে উল্লেখ আছে, ভুক্তভোগী চেকগুলো নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থাপন করলে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়। প্রথম অবস্থায় মৌখিকভাবে জানালেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি মেয়র মামুন। পরবর্তীতে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন তিনি।

আইনজীবী আজমত হোসাইন জানান, জনতা ব্যাংক পুঠিয়া শাখার পাঁচটি চেকের মাধ্যমে মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে মেয়র আল মামুন ৩০ লাখ টাকা গ্রহণ করে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ করে চারটি চেকে ২০ লাখ ও একটি চেকে ১০ লাখ টাকা নেন। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করতে টালবাহানা করছেন। প্রাথমিকভাবে টাকা নেওয়ার বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে।

মনিরুজ্জামান জানান, মেয়র মামুন কনস্ট্রাকশন ও পেট্রোল পাম্পের উন্নয়নের জন্য আমার কাছে থেকে টাকা নিয়েছিলেন। পরে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনেকবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু টাকা না দিয়ে সেটি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন। তাই বাধ্য হয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। এতে কাজ না হলে মামলা দায়ের করা হবে।

 


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২১ | সময়: ১:১৬ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ