ঢাবিতে ফের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল

সানশাইন ডেস্ক: এক দিনের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কার্জন হল ও দোয়েল চত্বরের মাঝের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে রমনা জোনের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হাই কোর্ট এলাকা থেকে মিছিল বের করেন। সেখান থেকে তারা দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় দুই পক্ষই ঢিল ছুড়তে থাকে। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ফের হাই কোর্টের ভেতরে অবস্থান নেন। ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান বলেন, “ছাত্রলীগ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাঠিসোঁটা, রড, পাইপ, রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে তারা পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে।
“আমিসহ অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।” বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীদের লাঠিসোঁটা, রড, পাইপ, ক্রিকেট স্টাম্প হাতে দোয়েল চত্বর, টিএসসি, শহীদ মিনারসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশমুখে মহড়া দিতে দেখা যায়। পরে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস এলাকায় গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। হামলায় ছাত্রদলের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন বলে দাবি করে সংগঠনটি। অন্যদিকে ছাত্রলীগের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ প্রতিহত করেছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’।
ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শৃঙ্খলা ও সম্পদ’ নষ্টের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারশ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “গত কয়েক দিনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় আজকেও (বৃহস্পতিবার) তারা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিহত করেছে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, “হাই কোর্ট এলাকায় দুটি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।”


প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২ | সময়: ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ