সর্বশেষ সংবাদ :

গোখাদ্যের সংকটে বিপাকে খামারীরা

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বাগমারায় কমে গেছে গোচারণভূমি। ফলে গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। খড়ের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে খামারী ও প্রান্তিক কৃষকরা। বাড়ির গবাদী পশুকে ঠিকমত খাবার দিতে না পারায় অনেক কম দামে সেগুলো বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
খামারীরা জানান, দেশীয় ও আমদানি করা প্রতিটি পন্যের দাম ২৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। এর ফলে বাজারে সরবরাহে কোন ঘাড়তি না থাকলেও কিছু দিন ধরে দফায় দফায় প্রতিটি গোখাদ্যের দাম লাফিয়ে লাফিলে বাড়ছে।
স্থানীয় খামারীরা বলেছেন, চাল, ডাল সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মনিটরিং সহ বিভিন্ন কারণে ওইসব পণ্যের বিষয়ে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হলেও গোখাদ্যের বিষয়ে এমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। তাই এখানে নৈরাজ্য ও অনিয়িম বেড়েই চলেছে।
মাড়িয়ার কৃষক আসাদুল জানান, তার বাড়িতে চারটি গরু ছিল। আশেপাশের এক ফসলী জমি ও ডোবা-জলাশয় গুলো পুকুর খনন করায় এখন বাইরে কোথাও গরু রাখার জায়গা পাওয়া যায় না। এছাড়া কয়েক দফায় খড়ের দাম বহুগুন বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে একটি গরু রেখে বাকিগুলো বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। একই গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, আগে ২০০ টাকা দিয়ে ১০০ আঁটি খড় কিনতাম। সেই খড় এখন ১ হাজার ৫শ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একই ভাবে বেড়েছে গোখাদ্যের অন্যান্য উপাদানের দাম। সয়ামিল ২ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২৭০০ টাকা, ধানের কুড়া ৭০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১৫০ টাকা, গমের ভুষি ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১০৬০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভবানীগঞ্জ বাজারের খড় বিক্রেতা জবান আলী ও রুস্তম জানান, বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে সব জায়গায় গোখাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল কাদির জানান, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে গোখাদ্যের এমন সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুগুলোকে বিকল্প ভাবে খাওয়ানোর জন্য আমরা খামারী ও প্রান্তিক গরুর মালিকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। রাস্তার ধারে ফাঁকা জায়গায় ঘাসের কাটিং লাগানো ও বিকল্প উপায়ে গমের ভুষি খাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান বলেন, প্রয়োজনে গোখাদ্যের বিভিন্ন উপকরণের দাম ও মান যাচাই করে দেখা হবে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ | সময়: ৪:৩০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর