সর্বশেষ সংবাদ :

গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনির ঘটনা রোধে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাকা অফিস: গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনির ঘটনা রোধে এবং এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কয়েকটি নির্দেশনা জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে মঙ্গলবার হাইকোর্ট এসব নির্দেশনা দেন।

হাইকোর্ট এ বিষয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জনগণকে সচেতন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। রায়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণীতে বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো গুজব, বার্তা, ভিডিওসহ যেগুলো জনতাকে উত্তেজিত করে এবং সহিংসতার দিকে উস্কে দেয় সেগুলো বন্ধ জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া এসবের পেছনের অপরাধীদেরও চিহ্নিত করতে হবে। এর আগে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসানের করা একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১ মার্চ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি সংক্ষিপ্ত রায় দেন। ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়ানোর পর ২ সন্তানের মা তসলিমা (৪০) গণপিটুনিতে মারা যান। একই সন্দেহে উত্তেজিত জনতা আরও ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই রিট আবেদন করা হয়েছিল। রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যে হাইকোর্ট বলেন, যদি কোনো গণপিটুনির ঘটনা ঘটে, তবে দেরি না করে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি এফআইআর করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব সার্কেলের বিশেষ কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। তদন্ত সার্কেল অফিসার ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত পর্যবেক্ষণ করবেন এবং নিশ্চিত করবেন যে ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ হয়েছে। গণপিটুনির আগে নিহত তসলিমা উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হেফাজতে ছিলেন বলে ওই শিক্ষক চাকরিতে থাকার উপযুক্ত কি না, তা নিয়ে শিক্ষা সচিবকে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আইনজীবী ইশরাত হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তসলিমার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। কিন্তু এর বিচার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি।’


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২ | সময়: ১:০৬ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ