রাজশাহীতে ‘নাপা’ সংকট!

স্টাফ রিপোর্টার: শীতের মৌসুম। চারিদিকে ঠাণ্ডজনিত রোগের প্রভাব। সেই সঙ্গে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ তো আছেই। সব মিলিয়ে এ মৌসুমের অন্য সময়গুলোর চেয়ে প্যারাসিটামাল জাতীয় ওষুধের চাহিদা থাকে বেশ। এ সময় রাজশাহীতে ‘নাপা র‌্যাপিড’, ‘নাপা এক্সট্রা’ ওষুধগুলোর কোন অভাব নেই। তবে ‘নাপা’ নামের প্যারাসিটামাল ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে রাজশাহীর ফার্মেসিগুলোতে। এমন সংকট চিকিৎসকদের ব্যাবস্থাপত্রের কারণেই তৈরি হয়েছে বলে ওষুধ বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
রাজশাহী মহানগরীর ফার্মেসীগুলোতে ‘নাপা’ সংকট দেখা দিয়েছে। প্যারাসিটামালের অন্য গ্রুপগুলো যেমন ‘নাপা র‌্যাপিড’, ‘নাপা এক্সট্রা’ ওধুষগুলো বাজারে থাকলেও বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালের ‘নাপা’ ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে ০৮ টাকা পাতা বিক্রি হলেও সংকট সময়ে সেই নাপা বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা পাতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহর ও গ্রামের মানুষ ঠান্ডা-গরম লাগার কারণে ঘরে ঘরে জ্বর, খুসখুসে কাঁশি ও ঠান্ডা-গরমে আক্রান্ত হচ্ছে। শহরের ফার্মেসীগুলোতে প্যারাসিটামাল জাতীয় নাপা ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে রোগীদের ভোগান্তি আরও বেড়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসে প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়া ও ঠাণ্ডাজনিত কারণে নাপা জাতীয় ওষুধের চাহিদা কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফার্মেসীর মালিকরা।
শনিবার রাতে নগরীর উপশহর, সপুরা এলাকার ফার্মেসীগুলোতে ‘নাপা’ ছিল না। ফার্মেসীর মালিকরা জানান, শহরের প্রায় প্রতিটি ঘরে জ্বর, কাশি রোগি বৃদ্ধি পাওয়ায় নাপা জাতীয় ওষুধের জন্য ফার্মেসিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। তবে নাপা জাতীয় ওষুধ পাচ্ছে না।
হুমায়ন মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার ছেলের গত তিন দিন যাবত জ্বর। নাপা ওষুধ শহরের একাধিক দোকানে খুঁজে পাইনি। দোকানদার শুধু বলেন সরবরাহ নেই। এতে আমার ছেলের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ফার্মেসী মালিকদের কয়েকজন জানান, করোনাভাইরাসে ঢেউয়ে নাপা জাতীয় ওষুধের চাহিদা কয়েক গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই সপ্তাহ যাবত ক্রেতাদের ‘নাপা’ চাইছে। প্যারাসিটামালের অন্যসব গ্রুপের ওষুধগুলো বাজারে প্রচুর পরিমানে থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা শুধু ‘নাপা’। একই গ্রুপের যেসব ওষুধ বাজারে আছে সেগুলোর মধ্যে ‘নাপা র‌্যাপিড’, ‘নাপা এক্সট্রা’ প্রচুর পরিমানে দোকানে আছে। কিন্তু ক্রেতার একই চাহিদা।
কারণ হিসেবে ওধুধ বিক্রেতারা বলেন, চিকিৎসকরা রোগির ব্যবস্থাপনাপত্রে শুধু ‘নাপা’ লিখছেন। কোম্পানির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শুধু ‘নাপা’ নাম লেখার কারণে রোগিরা অন্য কোন ওষুধের কথা ভাবছে না। রোগি বা রোগির স্বজনদের বোঝানো যাচ্ছে না যে ‘নাপা র‌্যাপিড’, ‘নাপা এক্সট্রা’ ওই নাপা বা তার চেয়েও ভালো কাজ করে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ | সময়: ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ