পলিথিনে ঢাকা বীজতলা কুয়াশা ও মড়কে সুরক্ষা

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: অব্যাহত শীত ও ঘন কুয়াশার হাত থেকে রক্ষা পেতে বাগমারায় চাষীরা বোরো বীজতলা রক্ষা করছে পলিথিন বিছিয়ে। পলিথিন দিয়ে কৃষকরা এখন বোরো চারা উৎপাদন করছে। ফলে এই পদ্ধতি এখন গোটা উপজেলা ব্যাপি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। কৃষি বিভাগও এই পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের পরমর্শ ও উৎসাহ প্রদান করছেন।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের অব্যাহত শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো চারা উৎপাদন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এ কারনেই কৃষকরা চারা উৎপাদনে পলিথিন ব্যবহার করছে।
কৃষকরা জানান, ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে কোল্ড ইনজুরিতে বোরো চারা হলুদ বর্ণ ধারন করে এক পর্যায়ে চারা মরে যায়। পরে ওই মরা চারা জমিতে রোপন করলে আশনুরুপ ফলন পাওয়া যায় না।
সরেজমিনে উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চারা রোপনের বয়স হলেও শীতের কারণে জমিতে লাগাতে পারছে না কৃষক। তবে কিছু উঁচু এলাকায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা আগাম বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করে। এখন ওই বীজতলায় চারা বড় হওয়ায় কৃষকরা সেগুলো জমিতে রোপণ করতে পারছে। আবার অনেক কৃষক তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত চারা তুলে বাজারে বিক্রি করে পাচ্ছেন বাড়তি লাভ।
মাড়িয়ার কৃষক লুৎফর রহমান ও আসাদুল জানান, প্রচন্ড শীতে চারা ফেললে নষ্ট হয়ে যাবে। এ কারণে তারা জমিতে বীজ ফেল পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। যাতে চারা নষ্ট না হয়। এসব চারা তারা আলু তোলার পর বোরোর চারা রোপন করবেন।
হামিরকুৎসার বোরো চাষি মুঞ্জুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম জানান, পলিথিন দিয়ে ঢেকে চারা উৎপাদন করলে চারার মান ভালো থাকে। শক্তিশালি এই চারা রোপন করলে ধানের ফলনও ভালো পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, শীতের কারণে কিছু চারা হলুদ হয়েছে। তবে এতে তেমন ক্ষতি হবে না। এসব চারায় ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে হবে। সেই সাথে সকালে কুয়াশ ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। তবে পলিথিন দিয়ে শুকনা বীজতলা করা খুবই উত্তম। তারা এখন কৃষকদের পলিথিন পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করার জন্য পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছেন।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ | সময়: ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ