সর্বশেষ সংবাদ :

বৃষ্টিতে সবজিসহ সব পণ্যমূল্যে অস্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার: মাঘের একেবারে শেষ দিকে বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে ফের বৃষ্টির হানা দিয়েছি। কয়েকদিন আগেও টানা দুই দিন ছিল বৃষ্টি। এতো বৃষ্টিতে সবজি মাঠের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারগুলোতে। বৃষ্টিতে রাজশাহীতে সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেশ চড়া।
রাজশাহীতে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বৃহস্পতিবার প্রায় সকল ধরনের নিত্যপণ্যের দাম (প্রকারভেদে) কেজিতে ৩ টাকা থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
রাজশাহী মহানগরীর বেশ কয়েকটি বাজারে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে নিত্যপণ্যের বাজার উর্ধ্বমুখীর তথ্য উঠে এসেছে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার নগরীর নওদাপাড়া কাঁচাবাজার, শালবাগান, সাহেববাজার, লক্ষীপুর, সাগরপাড়া, কোর্ট বাজার, শিরোইলসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি করোলা ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা, কাঁচাকলা হালি ৫ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা, শসা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিসে ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকা, বেগুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, টমেটো কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, গাজর কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিচ ২০ থেকে বেড়ে ২৫ টাকা, আলু ১৫ থেকে বেড়ে ২০ টাকা, পিয়াজ ২৫ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে বেড়ে ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে এক লাফে ২০ টাকা কেজিতে বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন, ডুমুর, মুলা, ওলকপির অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কিছুটা দাম কমেছে পটল ও মটরসুটির।
মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মুরগির মাংসের দাম অপরিবর্তি থাকলেও বেড়েছে গরু ও খাশির মাংসের দাম। গত সপ্তাহে গরুর মাংস কেজিতে ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া খাসির মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৯০০ টাকা হয়েছে। এছাড়া বেড়েছে ডিমের দামও। লাল ডিম ৩২ টাকা থেকে ৩৪ টাকা ও সাদা ডিম ৩০ টাকা থেকে বৃহস্পতিবার থেকে ৩২ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। সব ধরনের মাছের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন মুদির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের মধ্যে প্রায় সব পণ্যের দামই বেড়েছে। বাশমতি চাল গত সপ্তাহে কেজি ছিল ৭৬ টাকা বর্তমানে ৮০ টাকা, ইরি-২৮ চাল ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮টাকা, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৬৮টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মশুর ডাল ১১০ থেকে ১২০টাকা, দেশি বুট ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা দেশি চিনি ৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা কেজি। পাম ওয়েল ১৪৪ টাকা থেকে ১৫০টাকা, সয়াবিন তেল খোলা ১৪০ টাকা থেকে ১৪৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে বেড়েছে ৮ টাকা। এছাড়া লবন ২৮ টাকা থেকে ৩২ টাকা, সুজি ৫৬ টাকা থেকে ৬৪ টাকা হয়েছে। তবে আটা ও ময়দার দাম কিছুটা অপরিবর্তিত রয়েছে। সব ধরনের মসলাম দাম অপরিবর্তিত থাকলেও জিরার দাম কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। দামের কেজি প্রতি পাঁচ থেকে সাত টাকা বেড়েছে গত সপ্তাহে সয়াবিন তেল ছিল ১৫৬-১৫৮। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৩ টাকা কেজি। এছাড়া সরিষার তেল ২০০-২২০ লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। লবণ,২৮ কেজি চিনি, ৭৪-৭৫ টাকা কেজি, আটা ৩২- ৩৪ কেজি ।
নগরীর সাহেব বাজারে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে আসা উপশহর এলাকার মিলন বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু যারা যে পেশায় রয়েছেন তাদের বেতন কিন্তু বাড়ছে না। সরকারকে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পযায়ে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২ | সময়: ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ