সর্বশেষ সংবাদ :

ছক্কার বল ব্লক করলি কেন’ হৃদয়কে বললেন মাহমুদ

স্পোর্টস ডেস্ক: গ্যালারির ঠিক পাশেই নেট। বোলার, ব্যাটসম্যান কিংবা কোচদের প্রতিটা কথাই শোনা যায় স্পষ্ট। তবে নেটে তৌহিদ হৃদয়কে ফরচুন বরিশাল কোচ খালেদ মাহমুদ যা বললেন, তা শোনা গেল বেশ দূর থেকেও। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের নেটে তরুণ এই ব্যাটসম্যানের বড় দৈর্ঘ্েযর ঘরানার ব্যাটিং একদমই পছন্দ হচ্ছিল না মাহমুদের। তাতেই বিরক্তি কোচের।
যুব বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান হৃদয়কে অনেক বছর ধরেই চেনেন মাহমুদ। সাবেক এই অধিনায়ক যেখানে কোচিং করান, সেই বাংলা ট্র্যাক একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন এই ব্যাটসম্যান। তার শক্তি-দুর্বলতা কোনো কিছুই অজানা নয় মাহমুদের। তাই স্টাম্পে থাকা হাফ ভলি বলও ডিফেন্স করাটা একদমই মানতে পারেননি তিনি।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বরিশাল দুটি নেটে অনুশীলনে রাখে দুই ধরনের বোলার। একটা ছিল স্পিনারদের জন্য, অন্যটায় ছিলেন পেসাররা। জেইক লিন্টট, নাঈম ইসলাম, তাইজুল ইসলামের স্পিন ঠিক মতো সামলাতে পারছিলেন না হৃদয়। ফ্লাইটেড ডেলিভারিগুলো তাকে ভোগায় সবচেয়ে বেশি। এর মধ্েযই নাঈমের স্টাম্পে রাখা একটি ফুল লেংথ বল ডিফেন্স করেন হৃদয়। রেগে গিয়ে মাহমুদ বলেন, “এই বলে তো ছক্কা হয়, তুই কী করলি! এটা কি ব্লক করার বল?”
পরের বলেই অবশ্য বিশাল এক ছক্কা মারেন হৃদয়। এরপর আবার ভুগতে দেখা যায় তাকে। লিন্টটের একটি বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। মিরপুরের উইকেটে খেলা হলে অনেক সময়ই কিছুটা সাবধানী ব্যাটিং করতে হয়। তবে চট্টগ্রাম পর্বে খেলা জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে, যেখানে বেশির ভাগ সময়ই থাকে ব্যাটিং সহায়ক। হৃদয়কে স্পষ্ট করেই বুঝিয়ে দেন মাহমুদ, এখানে চড়াও হতে হবে বোলারদের ওপর। রক্ষণাত্মক মানসিকতার ব্যাটিং এখানে চলবে না।
নেটে সব ব্যাটসম্যানকে খুব বেশি সময় দেওয়ারও সুযোগ নেই। বিশাল স্কোয়াডের অন্য ব্যাটসম্যানদেরও তো সুযোগ দিতে হবে! হৃদয়কে তাই বড় শট অনুশীলন করে সময়টা কাজে লাগাতে বলেন মাহমুদ। “নেটে ব্লক করতে হবে কেন? তোকে তো এখানে মেরে খেলতে হবে। স্কয়ার লেগে বল পাঠা।” এরপরও সেই চেষ্টায় খুব একটা সফল হননি হৃদয়।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ | সময়: ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ