সর্বশেষ সংবাদ :

দুর্গাপুরে সাংসদের পক্ষে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, দুর্গাপুর: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মনোনয়নে অসঙ্গতির অভিযোগে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুবলীগ নেতা আহসান হাবীব।
তিনি পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, কতিপয় কিছু ব্যক্তি আমার ও স্থানীয় সাংসদ প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে বক্তব্য দিয়েছে। যাতে সাংসদ ও তার রাজনৈতিক এবং সামাজিক মান ক্ষুন্ন হয়েছে। সোমবার দুপুরে দুর্গাপুর সদরে পানানগর গ্রামের সুশীল সমাজের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন যুবলীগ নেতা হাবীব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন আহসান হাবীব। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠণ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা সংক্রান্ত বিধি বিধান মেনে এডহক কমিটির সভাপতি করার প্রক্রিয়া করছেন। এ নিয়ে কিছু কতিপয় ব্যক্তি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমুলক ও বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন।
এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান সম্পর্কে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। টাকা নিয়ে ডিও লেটার দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ডা. মনসুর রহমান এমন অভিযোগও সত্য নয়। সংসদ সদস্য মহোদয়কে রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে পানানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাহার আলী খাঁন স্থানীয় লোকজনকে ভূলভাল বূঝিয়ে লোক দেখানো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। যা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
তিনি আরো বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেলেও আজাহার আলী খান কখনো নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করেননি। এমনকি নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতেও কাউকে রাখেননি। তিনি নিজেই আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে পরিচিতি। যা রাজনৈতিক মহলে সবাই অবগত রয়েছেন। তার দুই ভাই এখনও জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করার পর থেকে পানানগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের কোনঠাসা করে রেখেছেন। লোক দেখানো সংবাদ সম্মেলন ডেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক মান ক্ষুন্ন হওয়ায় তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।
এদিকে, নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন এর আগের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখা পানানগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু এমদাদুল ইসলাম ও দুর্গাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ।
সেদিনের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় আবু এমদাদুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি তিনি পানানগর বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাহার আলী খাঁ পানানগর দ্বিমুখী বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে স্থানীয় সাংসদ ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের কথা বলেন।
এতে তিনি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী খাঁর সরবরাহ করা লিখিত মিথ্যা বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করেন। সেই বক্তব্য পুরোটাই মিথ্যা ছিল বলে দাবি করে দুঃখ প্রকাশ করেন আবু এমদাদুল ইসলাম।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ বলেন, সংসদ সদস্য নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ ও জনপ্রিয় ব্যাক্তি। চেয়ারম্যান আজাহার আলী তাকে ভুল বুঝিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তিনিও দুঃখ প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মন্ডল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, দেলুয়াবাড়ী ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু, দুর্গাপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ, পানানগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু এমদাদুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ | সময়: ৬:১১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ