ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ ১৪ দলীয় জোটের

সানশাইন ডেস্ক: একাত্তরের পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই, বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তা মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ এসেছে ১৪ দলীয় জোট থেকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষ্যে বুধবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় জোট নেতারা বলেন, ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হোক আজকের দিনে শপথ।’
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার এমপি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এর চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারী, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খানসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ সাধারণ জনগণের কাছে ছিলো কল্পনাতীত। স্বাধীনতার স্বাদ বাঙালির কাছে ছিলো অপূর্ণ। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর দেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পরিপূর্ণতা পায় দেশবাসী।’ তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফিরে আসার কারণেই তার সাহসী কূটনৈতিক তৎপরতায়, বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতের মিত্রবাহিনীকে দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। স্বাধীন দেশ হিসেবে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি মিলেছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তাৎপর্য তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন, সেই স্বপ্নের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই।’
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্েয জাতির পিতা একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলো। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে উল্টোপথে যাত্রা শুরু করিয়েছিলো সেই চক্র। ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলো। আজ বাংলাদেশ নতুন দিগন্তের পথে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র।’
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এই ফিরে আসা শুধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিলো না, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীণতা সংগ্রাম পরিপূর্ন রূপ পেয়েছিলো। তিনি প্লেনে বসেই যে বার্তাটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে পৌঁছানোর কথা বলেছিলেন, সেটি হলো- বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় বাহিনীকে কবে প্রত্যাহার করা হবে। ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, আপনি যেদিন বলবেন সেদিনই সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেবো। বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে আমাদের পরিচয়কে সুনির্দিস্ট করে দিয়েছিলেন।’
সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারী বলেন, ‘ভঙ্গুর একটি দেশ, ব্রিজ নেই, রাস্তাঘাট নেই, টাকা পয়সা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী লুটপাট করে সব নিয়ে গিয়েছিলো। সেই বিধ্বস্ত একটি দেশকে তিনি অল্প সময়ে গড়ে তুলেছিলেন। একটি সংবিধান দিয়েছেন, রাষ্ট্রকাঠামো দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেদিন ফিরে এসেছিলেন সেদিন স্বধীণতা পূর্নতা লাভ করেছিলো।’


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ | সময়: ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর