রাজশাহীতে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ শিক্ষককে পুলিশে দিলো স্থানীয়রা

স্টাফ রিপোর্টার: দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি। এমন অভিযোগে কোচিং সেন্টার ঘেরাও করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ কোচিং শিক্ষক নাজিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এমন ঘটনা ঘটেছে- রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকায়। মহিষবাথান এলাকায় আটককৃত নাজিমের ‘নাজিম প্রাইভেট সেন্টার’ নামে একটি কোচিং রয়েছে।
রোববার সকালে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক আহাদুজ্জামান নাজিম (৩৭)। তিনি রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক তিনি। শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার দশম শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, আহাদুজ্জামান নাজিম রাজাবাড়িহাট ডিগ্রি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক। তবে নিজের কোচিংয়ে তিনি ইংরেজি পড়াতেন। তিনি মাঝে মাঝেই নানা অযুহাতে ছাত্রীদের শরীরে হাত দিতেন। লজ্জায় কেউ কিছু না বলে কোচিংয়ে আসা বন্ধ করে দিত। ঘটনার শিকার সবশেষ দুই শিক্ষার্থীও চেপে যাচ্ছিল। পরে বিষয়টি পরিবারকে জানানো হলে অভিভাবকরা নাজিমকে ধরে পুলিশে দেন।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকালে কোচিংয়ে দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটান শিক্ষক নাজিম। ওই দুই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। ওই দুই ছাত্রী তার সঙ্গে না গিয়ে বাড়ি চলে যায়।
এরপর আর কোচিংয়ে আসছিল না। পরে শনিবার এক ছাত্রীর সহপাঠী ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে তাঁর অভিভাবককে ঘটনাটি সম্পর্কে জানায়। এরপর ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকসহ অন্য অভিভাবকরা শনিবার সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টারটি ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে নাজিমকে থানায় নিয়ে আসে। এনিয়ে রাতেই এক ছাত্রীর অভিভাবক বাদী হয়ে শিক্ষক নাজিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২১ | সময়: ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ