সর্বশেষ সংবাদ :

শ্রেষ্ঠ জয়িতা সংবর্ধনা পেলেন রাজশাহীর ১০ নারী

স্টাফ রিপোর্টার : ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত ১০ জন নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা’র সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘জর্য়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় জেলা প্রশাসন ও রাজশাহী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তাঁদের সংবর্ধনা জানানো হয়।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে পৃথকভাবে ৫ জন করে নির্বাচিত মোট ১০ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন, সফল জননী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যেমে জীবন শুরু করা নারী, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ব্যক্তিত্ব এই পাঁচটি ক্যাটাগরিতে তাঁরা নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে পৃথকভাবে ৫ জন করে নির্বাচিত মোট ১০ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন, সফল জননী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যেমে জীবন শুরু করা নারী, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ব্যক্তিত্ব এই পাঁচটি ক্যাটাগরিতে তাঁরা নির্বাচিত হন।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা সবাই কোনো না কোনো নারীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছি। নারী জাতি আমাদের কাছে অত্যন্ত সম্মানের। প্রত্যেকটা মা তাঁর পরিবার এবং সন্তানের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বর্তমান সরকার নারী বান্ধব সরকার। নারীদের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপের কারণে নারীরা এখন সকল ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি অদম্য সাফল্যের সাথে কাজ করছে। নারীও যে কাজ করতে পারে, সেটা তারা দেখিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, নারীদের আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তাহলে তারা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ সময় তিনি নারী উন্নয়নে পথের বাধা হিসেবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, ইচ্ছা যদি থাকে অটুট, লক্ষ্য যদি সঠিক হয়, তবে সফলতা আসবেই। আজকে যারা জয়িতা পুরস্কার পাচ্ছেন তাদের আমি কৃতজ্ঞতা এবং সম্মান প্রদর্শন করছি।
তিনি বলেন, জীবনে বিকশিত হওয়ার জন্য চাকরিই একমাত্র পন্থা নয়। আজ যারা জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সবাই চাকরিজীবী নন। কিন্তু তারা দেখিয়েছে তারাও পারে। তবে সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে। জ্ঞান অর্জন করাই আসল কাজ। এ সময় তিনি নারীদেরকে কোনো পুরুষের বিরক্তির খপ্পর থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেন।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২১ | সময়: ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ