কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু; দোষীদের বিচার চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

রাবি প্রতিনিধি : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের বিচার চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’। বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ বুুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ‘কুয়েটের শিক্ষক সেলিম মারা গেছেন। অনেকে বলতে পারেন লোভ নিয়ে তিনি বিশবিদ্যালয়ের প্রভোস্ট হয়েছিলেন। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো এ দায়িত্ব পালন করতেই হবে। সবাই যদি আজ আমরা এসব দায়িত্ব ছেড়ে দেই, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কিভাবে!’
তিনি বলেন, ‘যে কাঠামোর মধ্যে আমরা প্রবেশ করছি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। যে কাঠামোর মধ্যে আমরা ভিসি হচ্ছি, প্রক্টর হচ্ছি তা নিয়ে প্রশ্ন নেই। এই কাঠামোর গুণগত পরিবর্তন হওয়া দরকার। এ ছাড়া আমাদের হাজার হাজার আবরার, শিক্ষক সেলিমদের জন্য বারবার দাঁড়াতে হবে। এর অবসান হওয়া দরকার।’
একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, ‘কুয়েট শিক্ষক সেলিম হয়ত স্ট্রোক করে মারা গেছেন। কিন্ত এর আগে ছাত্রলীগের ছেলেরা তার সাথে যে আচরণ করেছে, হয়তবা একারণে তার মৃত্যু হতে পারে। ক্ষমতাশীল দলের নেতারা একাজগুলো ক্রমাগত করেই যাচ্ছে। একজন শিক্ষককে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। তাকে অপমান করা হয়। ভয় দেখানো হয়। যেকোনো বিষয়ে জোর করা হয়। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।’
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যু অসম্ভব হৃদয়বিদারক। যখন খুব মর্মান্তিক কিছু একটা ঘটে যায়। তখন আমরা আসলে কি করি? আমরা কষ্ট পাই, অন্যায় হলে সেটার প্রতিবাদ করি। কিন্তু আমি এর মাধ্যমে একটি শুভ পরিবর্তন দেখতে চাই। এজন্য ছাত্র-শিক্ষক একত্রিত হয়ে আমরা যদি শুভ পরিবর্তন এবং মঙ্গলের জন্য কাজ করি তাহলে হয়ত একটা পরিবর্তন আসবে।’
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী রাবি শাখার সভাপতি রঞ্জু হাসান এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ খাঁন।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২১ | সময়: ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ