সর্বশেষ সংবাদ :

এলজির উদ্যোগে শুরু হলো অ্যাম্বাসেডর চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার: দেশ জুড়ে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে এলজি ইলেকট্রনিক্স এলজি অ্যাম্বাসেডর চ্যালেঞ্জ ২০২১ উদ্বোধন করেছে। বাংলাদেশে এলজি ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিটার কো ২৫ নভেম্বর এলজি ইলেকট্রনিক্স গুলশান অফিসে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যেখানে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সের প্রধান আশিকুল ইসলাম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এলজি ইলেক্ট্রনিক্স ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর এলজি অ্যাম্বাসেডর চ্যালেঞ্জের আয়োজন করে আসছে। এরপর, ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট কোম্পানিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই বিষয়ে পোস্ট করে এলজি বাংলাদেশ এর ফলোয়ারদের কাছ থেকে সামাজিক উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা জমা দেয়ার জন্য আহ্বান জানায় যেখানে যুবকদের সমাজের সুবিধাবঞ্চিত লোকদের জন্য তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা জমা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এই বছর, ৩৩৬ জন আবেদনকারীর মধ্যে, ৬ জন অ্যাম্বাসেডরকে “অ্যাম্বাসেডর চ্যালেঞ্জ ২০২১” এর অধীনে নির্বাচিত করা হয়েছে এবং এলজি নির্বাচিত প্রকল্পগুলিকে অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মধ্যে খুলনার আশিকুজ্জামান গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছেন যার মাধ্যমে এক হাজারের বেশি পরিবার নিরাপদ পানীয় জলের সুবিধা পাবে। ফলে কলেরা, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দূর হবে।
কক্সবাজারের জাহিদুল ইসলাম ‘ভেড়া পালন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন যা সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলিকে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে সহায়তা করবে এবং সাতক্ষীরা থেকে জনাব হাবিবুল্লাহ তার ‘বাঘ বিধবা পরিবার স্বনির্ভরতা’ প্রকল্পের মাধ্যমে সুন্দরবনে বাঘের আক্রমনে মারা যাওয়া পুরুষদের বিধবা স্ত্রীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করবে। খুলনার জনাব আল সাদিক ‘পাঠশালা’ নামে একটি লাইব্রেরিসহ দেলুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্থ’ সুযোগ-সুবিধা পুনর্র্নিমাণের জন্য জমা দিয়েছেন যা ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দ্বারা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং যেখানে ইতিমধ্যে ২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। সর্বশেষে, কুড়িগ্রামে মোহাম্মদ ইমাম হোসেনের প্রকল্প ‘বিদ্যাপীঠ’-এর লক্ষ্য তার গ্রামের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষিত করে তার এলাকার সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করা এবং ষষ্ঠ অ্যাম্বাসেডরের প্রকল্প পরবর্তিতে প্রকাশ করা হবে।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২১ | সময়: ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ