প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার মুক্তিযোদ্ধা জেলা, রাজশাহী কমপ্লেক্স ভবনের মহানগরে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাগণ এই মত বিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাব্বির রহমান (মতি)।
সভায় জানানো হয় অতি সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি যে তালিকা প্রকাশ করেছেন সেগুলির বিষয়ে সভায় উপস্থিত বীর মু্িক্তযোদ্ধাগণ সন্তোষ, প্রকাশ করেছেন। যাচাই-বাছাই কমিটির যারা সভাপতি ও সদস্য মনোনীত হন তারা সকলেই ভারতীয় উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা কেউ ছিলেন রণাঙ্গনের মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও কেউ কেউ ছিলেন সরাসরি যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত মুক্তিযোদ্ধা। তারা সকলেই রণাঙ্গনের প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার খুবই পরিচিত মুখ। অথচ নগরীর কতিপয় বিতর্কিত নামধারি মুক্তিযোদ্ধা যাদের অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে কোন সংশ্লিষ্টতাই ছিল না। তারা এই মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সরকারের এই মহৎ উদ্যোগকে বিতর্কিত করে চলেছে। বেশকিছুদিন যাবৎ এরা রাজশাহী শহরে তৎপর রয়েছে। এরা ঢাকা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে গিয়েছে। মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎও করেছে।
এব্যাপারে গত ৫ মার্চ ২০২১ তারিখে দৈনিক সোনালী সংবাদের ৪র্থ পৃষ্ঠার ২য় কলামের তাদের সভায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি তার প্রমান বহন করে। উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১লা এপ্রিল ২০২১ থেকে ৩১ মে ২০২১ পর্যন্ত সময়ে জামুকায় সরকারের ছাড়কৃত আপিল ফরম পুরন করে সংক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের আপিল ফরম পুরন করে জমা দানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় বলে জানানো হয়। এছাড়া সরকার প্রদত্ত আপিলের সুযোগ প্রদানকে তারা ধন্যবাদও জানান। এরপরও তারা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক গৃহিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি করার কাজে লিপ্ত থেকে অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যা প্রকারন্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে বলে মুক্তিযোদ্ধাগণ মনে করে।
তাই অবিলম্ব তাদের এধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আশু দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান জামুকা ও স্থানীয় প্রশাসনকেও তাদের এধরনের কার্যকলাপের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
সভাশেষে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাগণের মাসিক সম্মানীভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণাকে ধন্যবাদ জানানো হয়। সভায় এই মর্মে আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান সকলের বয়স প্রায় ৬৫ বছরের উর্ধ্বে হয়ে গেছে। ফলে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সুবিধাদি প্রদান করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব বলে মুক্তিযোদ্ধাগণ মনে করে। তাই অবিলম্বে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ নিজ নামে চিকিৎসা সুবিধাদি প্রদানের কার্ড ইস্যু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানাচ্ছে।
নগরীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময়
মার্চ ২৫
০৬:৫০
২০২১