স্টাফ রিপোর্টার : উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। করোনাকালে থেমে না থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম অনলাইনে অব্যাহত রেখেছেন।
হল্ট প্রাইজ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বিজনেস এ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রাম যা প্রতিবছর সমাজের যে কোনো একটি সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিজনেস আইডিয়া তৈরি করার জন্য আহ্বান করে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯২টি দেশের ৩ হাজার ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ লাখ ছাত্রছাত্রী প্রতি বছর এতে অংশগ্রহণ করে।
এরই ধারাবাহিকতায় হল্ট প্রাইজের নির্ধারিত এ বছরের চ্যালেঞ্জ ছিল ‘ফুড ফর গুড’। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের এমন একটি খাদ্য বিষয়ক বিজনেস আইডিয়া তৈরি করতে হবে যা আগামি ১০ বছরে ১০ লাখ মানুষের জীবনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
হল্ট প্রাইজ প্রধানত তিনটি ধাপে হয়ে থাকে। প্রথম রাউন্ডটি অন-ক্যাম্পাস রাউন্ড। তারপরে ৫০টির বেশি শহরে ইম্প্যাক্ট সামিটের আয়োজন করা হয়। সর্বশেষে অনুষ্ঠিত হয় গ্লোবাল এ্যাকসেলারেট প্রোগ্রাম। অন-ক্যাম্পাস রাউন্ডে প্রতিটি মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলো অংশগ্রহণ করে।
গত বছর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সি.এস.ই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মো. আতিক ইয়াসির, সাদিয়া সুলতানা সুমাইয়া এবং আফসানা আখতার নওরীন হল্ট প্রাইজ সম্পর্কে জানতে পারেন। সি.এস.ই. বিভাগের শিক্ষকগণ ও বিভাগীয় প্রধানের সহায়তায় তারা তাদের প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেন। সকল প্রস্তুতি শেষে তারা অন-ক্যাম্পাস রাউন্ডে অংশগ্রহণ করেন ও বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার সাথে সাথে তারা চায়নার দ্যা চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং’য়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইম্প্যাক্ট সামিট ২০২১’তে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন। এটিতে বিজয়ী দল গ্লোবাল এ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামের জন্য মনোনীত হবেন।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম টাচু বর্তমান সমাজে খাবারের প্রতি সৃষ্ট ভ্রান্ত মানসিকতা পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারই সুত্র ধরে গতকাল ২৪ মার্চ বিকেলে রাজশাহী নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে একটি ক্যাম্পেইন করেছে। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এই ক্যাম্পেইনে তারা তাদের নিজস্ব খাবার উপস্থাপন করেছেন।
ইম্প্যাক্ট সামিটে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম টাচু
মার্চ ২৫
০৬:৫০
২০২১